আগামী বুধবার সম্ভবত আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। তার আগে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বৈঠকে আছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরাও।মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করবে ‘ইয়াস’। তারপর আরও শক্তি অর্জন করে বুধবার সন্ধ্যায় ওড়িশার পারাদ্বীপ এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরের মাঝখান দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। সেই সময় ঘণ্টায় ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়। কখনও কখনও ঝড়ের বেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটারে পৌঁছে যেতে পারে। অর্থাৎ পূর্বাভাস মিলে গেলে রীতিমতো তাণ্ডব চালাবে ‘ইয়াস’। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় দাপট দেখানোর সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং অন্ধ্রপ্রদেশেও ‘ইয়াস’-এর প্রভাব পড়বে। সেই পরিস্থিতিতে ইতিমধ্যে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) এবং ভারতীয় সেনার দল নামানো হয়েছে। বিভিন্ন নীচু জায়গার মানুষকে সুরক্ষিত জায়গায় সরিয়ে আনা হচ্ছে। রাজ্যগুলির তরফেও ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বাংলায় যেমন ইতিমধ্যে ৩৫ টি এনডিআরএফ দল এসে গিয়েছে। তৈরি রাখা হচ্ছে রাজ্যের নিজস্ব দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীকে। উদ্ধারকাজের জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের তৈরি রাখা হচ্ছে। কার্যত লকডাউনের মধ্যে যাতে মুদিখানা বা শাক-সবজির অভাব না হয়, সেই প্রস্তুতিও সেরে রাখা হয়েছে।সেই পুরো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করছেন শাহ। নবান্ন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আছেন আন্দামান ও নিকোবরের উপ-রাজ্যপাল ডি কে জোশী।