আরিয়ান খানকে গ্রেফতার করা ব্যক্তি এখন নিজেই আদালতের দ্বারস্থ, এনসিবি কর্তা সমীর ওয়াংখেড়েকে তোপ মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীনবাব মালিকের। পাশাপাশি প্রাইভেট গোয়েন্দা হিসেবে পরিচিত কেপি গোসাভিকেও খোঁচা দেন মালিক। বলেন, 'দেখবেন পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। যে ব্যক্তি আরিয়ান খানকে এনসিবি অফিসে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল সে এখন কারাগারে। আরিয়ান খান এবং অন্যদের জামিনে বাধা দেওয়া ব্যক্তি নিজেই গতকাল আদালতের দরজায় কড়া নাড়ছিলেন।'উল্লেখ্য, গতকালই পুণেতে তিন বছর পুরোনো এক প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করা হয় প্রাইভেট ডিটেকটিভ হিসেবে পরিচিত কিরণ গোসাভিকে। সম্প্রতি আরিয়ান খান মাদক মামলায় এনসিবির অন্যতম সাক্ষী হওয়ার দরুণ খবরের শিরোনামে ছিলেন গোসাভি। তবে তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। এরপর গোসাভিকে নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ ওঠে, শাহরুখপুত্র আরিয়ানকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২৫ কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন গোসাভি।এদিকে আরিয়ান মামলায় তোলাবাজির অভিযোগ ওঠায় এনসিবি মুম্বইয়ের জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্স তদন্ত শুরু হয়েছে। পাঁচ সদস্যের বিভাগীয় কমিটি গঠিত হয়েছে ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে তদন্তের স্বার্থে। এই আবহে আদালতে সমীর হলফনামা দিয়ে দাবি করেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি গ্রেফতার হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এদিকে আদালতে মুম্বই পুলিশ জানায়, ওয়াংখেড়েকে গ্রেফতার করা হলে তিন দিন আগে নোটিস দেওয়া হবে। এই সবের মাঝেই নবাব মালিক কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সমীর ওয়াংখেড়েকে। উল্লেখ্য, আরিয়ানের গ্রেফতারির পর থেকেই সমীর ওয়াংখেড়েকে তোপ দেগে এসেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক।