দিল্লিতে জনপ্রিয় ফাস্টফুড চেইন বার্গার কিংয়ের একটি আউটলেটে গত জুন মাসে একটি শুটআউটের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজও সামনে এসেছিল। যা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। আর সেই মামলায় এবার পুলিশের জালে ধরা পড়লেন ১৯ বছর বয়সি এক তরুণী। অন্নু ধনকড় নামক সেই তরুণী 'লেডি ডন' হিসেবেই পরিচিত। জানা গিয়েছে, কুখ্যাত গ্যাংস্টার হিমাংশু ভাউয়ের দলের সদস্য ছিলেন এই অন্নু। উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর খেরিতে ভারত-নেপাল সীমান্তের কাছ থেকে নাকি অন্নুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। (আরও পড়ুন: 🐼নিজ্জরের ডেথ সার্টিফিকেট নিয়েও 'লুকোচুরি', কানাডার কীর্তি ফাঁস ভারতীয় আধিকারিকের)
আরও পড়ুন: ✅সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার বিস্তারিত শুনানি কি জানুয়ারিতেও হবে? উঠছে প্রশ্ন
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৮ জুনের শুটআউটের ঘটনায় যুক্ত ছিল অন্নু। ঘটনায় অমন নামক এক ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছিল। সেই মামলায় ধৃত 'লেডি ডন' হরিয়ানার রোহতকের বাসিন্দা বলে জানান দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের ডেপুটি কমিশনার অমিত কৌশিক। এদিকে এই ঘটনার পরে গ্যাংস্টার হিমাংশু ভাউ সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার দায় স্বীকার করেছিল। তার এক সহযোগীর হত্যার প্রতিশোধ হিসেবেই অমনকে এভাবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে হিমাংশু। এদিকে জেরায় অন্নু পুলিশকে জানান, হিমাংশু তাঁকে আমেরিকায় পালিয়ে যেতে অর্থ ও প্রয়োজনীয় নথি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। দুবাই হয়ে আমেরিকায় পালানোর পরিকল্পনা ছিল অন্নুর। (আরও পড়ুন: ⛎কবের মধ্যে লাদাখে LAC থেকে ভারত-চিনের সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হবে?)
🌸প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন সন্ধ্যায় রাজৌরি গার্ডেনের বার্গার কিং আউটলেটে ২৬ বছর বয়সি যুবককে দু'জন বন্দুকবাজ গুলি করে খুন করেছিল। মৃতের নাম অমন জুন। তিনি হরিয়ানার ঝাজ্জরের বাসিন্দা ছিলেন। রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে সেই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি। ভিডিয়োতে দেখা যায়, রেস্তোরাঁয় কাস্টোমার সেজে বসে ছিল দু'জন হিটম্যান। তাদের মধ্যে একজন প্রথমে উঠে অমনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে, দোকানের অন্য গ্রাহক এবং কর্মীরা তাদের প্রাণ বাঁচানোর জন্যে মরিয়া হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। এরপর অমনকে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কয়েকবার গুলি করা হয়।
💫সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অমন সেই রেস্তোরাঁয় একজন তরুণীর সঙ্গে বসেছিল। এই আবহে মনে করা হচ্ছিল, সেই তরুণীও এই হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে সামিল। পরে তদন্তে উঠে আসে, বসে থাকা সেই তরুণী ছিল এই অন্নু। উল্লেখ্য, পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, অন্নু আগে এসে রেস্তোরাঁর নির্দিষ্ট স্থানে বসেন। অমন এর কিছুক্ষণ পরে এসে সেই তরুণীর সঙ্গে বসেন। এর কিছুক্ষণ পরে সেই তরুণী কাউন্টারে গিয়ে খাবারের অর্ডার দেন এবং খাবার নিয়ে টেবিলে ফিরে আসেন। এর পরপরই সাদা শার্ট ও লাল টি-শার্ট পরা দুই ব্যক্তি রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করেন। অমন এবং সেই তরুণী যেখানে বসেছিলেন, তার পিছনের একটি সিটে বসে তারা দু'জন। তার আগে অবশ্য তারাও কাউন্টারে গিয়ে খাবারের অর্ডার দিয়ে আসে। এদিকে কাউন্টারে অর্ডার দিয়ে ফেরার পরে আসনে না বসে তারা পিছনে ঘুরে দাঁড়ায় এবং অমনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০টি গুলি সেই দোকানে চলেছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে খুনের পর অন্নু মুখার্জি নগরে নিজের পিজিতে চলে যান। সেখান থেকে তিনি অমৃতসর হয়ে কাটরা চলে যান।