পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে দাবি করা হল টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে। দাবি করা হয়েছে, ২০২০ সালে শুরু হওয়া 'ফেসঅফ'-এর সময়ে যে সব অস্থায়ী তাঁবু বা স্থাপত্য সেখানে ছিল, সেই সব খোলার বা সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। ডেপস্যাং এবং ডেমচকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এক সপ্তাহের মতো সময় লাগতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আর হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্টে নিদিষ্ট ভাবে দাবি করা হল, আগামী ২৮ থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে দুই দেশের সেনা প্রত্যাহারের কাজ সম্পন্ন হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে দাবি করা হয়েছে, এই মাসের শেষেই এই সব এলাকায় শুরু হয়েছে যাবে দুই দেশের সেনার টহল। এদিকে এই সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া সম্পন্নের পরে এখানে আর কোনও বাফার জোন তৈরি করা হবে না বলেই জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: নিজ্জরের ডে༺থ সার্টিফিকেট নিয়েও 'লুকোচুরি', কানাডার কীর্তি ফাঁস ভারতীয় আধিকারিকের)
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার বিস𒁏্তারিত শুনানি কি জানুয়ারিতেও হবে? উঠছে প্রশ্ন
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচ বছর পরে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় টহলদারি নিয়ে জট কাটতে চলেছে। এই নিয়ে সোমবার ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বলেন, 'গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা চলেছে, সেটার ফলস্বরূপ ভারত-চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা প্যাট্রলিং নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছে দু’দেশ।' এই আবহে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে দাবি করা হয়, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পশ্চিম দিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় 'বটলনেক' অঞ্চলে টহলদারির ক্ষেত্রে ভারতকে আর বাধা দেবে না চিন। এই 'বটলনেক' অঞ্চলটি ভারতের দাবি করা এলাকার ১৮ কিলোটিমার ভিতরে বলে জানা যায়। (আরও পড়ুন: দিল্লির বা༒র্গার কিং শুটআউಞটে গ্রেফতার বছর ১৯-এর 'লেডি ডন',পালাতে চেয়েছিল আমেরিকায়)
এর আগে ইকোনমিক টাইমসের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, ডেপস্যাঙে ভারতের টহলের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। উল্লেখ্য, ডেপস্যাং এবং ডেমচকে ভারতীয় সেনাকে টহলে বাধা দিচ্ছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ। তবে 💝রিপোর্টে দাবি করা হল, এই দুই জায়গায় ভারতীয় সেনার টহলদারির অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, ডেমচকে এর আগে চিন তাঁবু খাটিয়ে বসেছিল প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ভারতীয় দিকে। তবে সেই সমস্যা কিছু দিন আগেই মিটেছে। তবে এরই মধ্যে ডেপস্যাঙের সমস্যারও সমাধাম সূত্র বেরিয়ে এসেছে বলে দাবি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই ডেপস্যাঙের ওয়াই জংশনে স্থায়ী স্থাপত্য গড়েছে চিনা সেনা। এই ওয়াই জংশন হয়েই প্যাট্রলিং পয়েন্ট ১১, ১১এ, ১২ এবং ১৩-তে যেতে হয় ভারতীয় সেনাকে।
এদিকে সম্প্রতি ভারতীয় সেনা প্রধান জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, 'চিনের সাথে ফের বিশ্বাস স্থাপনের চেষ্টা করছে ভারতꦕীয় সেনা বাহিনী। তারাই নিজেদের আক্রমণাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে এলএসিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল। আমরা ২০২০ সালের এপ্রিলের স্থিতাবস্থায় ফিরে যেতে চাই। এরপরে আমরা ডিসএনগেজমেন্ট, ডি-এসকেলেশন এবং এলএসির স্বাভাবিক ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেব। ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে এটাই আমাদের অবস্থান।' অবশ্য চলমান এই সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার আবহে সীমান্তে পুরোপুরি স্থিতাবস্থা ফিরেছে কি না, তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, ২০২০ সালের এপ্রিলের আগের অবস্থাতেই ফিরছে ডেপস্যাং এবং ডেমচক।