অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। ভিভো কি এমতাবস্থায় সেটা ব্যবহার করতে পারবে? শুক্রবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে(ইডি) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। ইডির বিরুদ্ধে ভিভোর পাল্টা চ্যালেঞ্জের মামলায় এই নির্দেশ।অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার বিরুদ্ধে ভিভোর আবেদনের বিরোধিতা করে, ইডি-র আইনজীবী জোহেব হোসেন বলেন, আবেদনটি প্রিম্যাচিওর। তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন, GPICPL-এর অ্যাকাউন্টে ১,৪০০ কোটি টাকা এসেছে। এর মধ্যে অন্তত ১,২০০ কোটি টাকা মোবাইল কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গিয়েছে।তিনি বলেন, GPICPL-এর জাল নথির ভিত্তিতে কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের (MCA) অধীনে রেজিস্ট্রেশন করেছিল। আর তারই ভিত্তিতে সংস্থার প্রাক্তন জেনারেল ডিরেক্টর বিন লু ভারত জুড়ে ১৮টি কোম্পানি স্থাপন করেছিলেন।ভিভোর অর্ডার এই সংস্থাগুলি এবং GPICPL-এর মাধ্যমে দেওয়া হয়েছিল। এর দ্বারাই ১,২০০ কোটি টাকা ম্যানেজ ও বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল।তিনি আরও দাবি করেন, অনুসন্ধান চলাকালীন কর্মীরা পলাতক হয়ে যান। অনেকে আবার ডিজিটাল ডিভাইস লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন। তদন্তে অসহযোগিতারও অভিযোগ করেন তিনি।ভিভোর পক্ষের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতকে বলেন, ইডি-র কাজকর্মের ফলে সংস্থার কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে।'আমাদের কর দিতে হবে। আমাদের টিডিএস দিতে হবে। আবগারি শুল্ক দিতে হবে। ৯,০০০-এরও বেশি কর্মচারী রয়েছেন। প্রতিনিয়তই দায় বেড়ে চলেছে,' বলেন সিদ্ধার্থ লুথরা।বৃহস্পতিবার ইডি জানিয়েছিল যে, তারা মঙ্গলবার ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ২৩টি সহযোগী সংস্থা, যেমন মেসার্স গ্র্যান্ড প্রসপেক্ট ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড (GPICPL)-এর অন্তর্গত সারা দেশে ৪৮টি স্থানে অনুসন্ধান চালিয়েছে।ED-র মতে, ভিভো মোবাইলস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, গত ১ অগস্ট, ২০১৪-তে হংকংয়ের কোম্পানি মাল্টি অ্যাকর্ড লিমিটেডের একটি সহযোগী হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করেছিল এবং ROC দিল্লিতে রেজিস্টার্ড হয়েছিল। GPICPL, গত ৩ ডিসেম্বর, ২০১৪-তে ROC সিমলা, সোলান, হিমাচল প্রদেশ, গান্ধীনগর, জম্মুতে রেজিস্ট্রেশন করেছিল।ইডি দাবি করে যে, GPICPL সংস্থাটি নীতিন গর্গ নামে একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের সহায়তায় ঝেংশেন ওউ, বিন লো এবং ঝাং জি নামে তিন ব্যক্তি স্থাপন করেছিল। বিন লু গত ২৬ এপ্রিল ২০১৮-তে ভারত থেকে চলে গিয়েছেন। ঝেংশেন ওউ এবং ঝাং জি-ও ২০২১ সালে ভারত ছেড়েছিলেন।ইডির দাবি, এই সংস্থাগুলি ভিভো ইন্ডিয়াতে বিপুল পরিমাণ টাকা স্থানান্তর করেছে। ব্যবসা থেকে ১,২৫,১৮৫ কোটি টাকার মোট আয়ের মধ্যে, ভিভো ইন্ডিয়া ৬২,৪৭৬ কোটি টাকা চিনে পাঠিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ, প্রায় ৫০% টার্নওভারই চলে গিয়েছে ভারতের বাইরে, মূলত চিনে। ভারতে কর প্রদান এড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। ভারতীয় সংস্থাগুলির বিশাল ক্ষতি দেখিয়ে কর ছাড় পাওয়ার জন্য এমনটা করা হয়েছিল, অভিযোগ ইডি-র।