🅷 চলছে উৎসবের মরশুম। আনন্দে গা ভাসিয়েছে গোটা দেশ। এরই মাঝে রেডিট-এ দিল্লির এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি দিওয়ালির আগে চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দিয়েছিলেন। যে ডেলিভারি এজেন্ট তাঁকে সেই বিরিয়ানি দিতে এসেছিলেন, তিনি পাল্টা ধমক দেন, এই অর্ডারের জন্য। দিল্লির ওই ব্যক্তির দাবি, তাঁর খাবার পছন্দের কারণ ঘিরে ছিল এমন ধমক।
♋রেডিট-এ ওই ব্যক্তি জানান, অন্যান্য আর চার পাঁচটা দিনের মতোই অনলাইনে অর্ডার করা খাবার দিতে এসেছিলেন এক এজেন্ট। আর চার পাঁচজনের মতোই এই এজেন্ট খাবারের অর্ডার দিয়ে ওটিপি চান। তারপর কোড দেওয়ার পর ওই ডেলিভারি এজেন্ট চলে যাননি। ক্রমাগত তিনি ধমক দিতে থাকেন বলে দিল্লির ওই ব্যক্তির অভিযোগ। ধমকের সুরে ওই ব্যক্তিকে ডেলিভারি এজেন্ট বলতে থাকেন, ‘ইয়ে বহত গলত কর রহে হো আপ, ঠিক নেহি হ্যায়।’ অর্থাৎ বকাঝকা করতে শুরু করে ওই ডেলিভারি এজেন্ট বলতে থাকেন, যা করছেন তা খুবই ভুল করছেন, একদমই ঠিক কাজ করছেন না।
🍸ডেলিভারি এজেন্টের এমন ব্যবহারের মুখে পড়ে ওই ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর খাবার ঘিরে এমন কি ভুল হয়ে গিয়েছে, যে এভাবে তাঁর সঙ্গে ডেলিভারি এজেন্ট কথা বলছেন! তখনই ওই ডেলিভারি এজেন্ট পাল্টা জানান, দিওয়ালি শেষ হওয়া পর্যন্ত এমন চিকেন বা মটন খাওয়া ঠিক নয়। রেডিট-এ এমনই দাবি করেছেন ব্যক্তি। এমনকি তাঁকে দিওয়ালি পর্যন্ত ‘পরিচ্ছন্ন’ কিছু খাওয়ারও পরামর্শ ও ডেলিভারি এজেন্ট দিয়েছেন বলে দাবি ব্যক্তির। দিল্লির ওই ব্যক্তির দাবি, এমনটা শুনে তিন স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না, যে কী বলবেন। সেই সময় নিজের অভিব্যক্তি নিয়ে দিল্লির ওই ব্যক্তি বলেন,'আমি একটা অপরাধমূলক হাসি নিয়ে প্রায় পাথর হয়ে গিয়েছিলাম.. আমি ওনাকে কী আর বলতাম? কেনই বা তিনি তা নিয়ে কেয়ার করতেন?' ওই ব্যক্তির দাবি, তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি রিপোর্ট করতে ভয় পাচ্ছিলেন। তাঁর দাবি ওই এজেন্ট তাঁর বাড়ির ঠিকানা জানেন, তাঁর ফোন নম্বর জানেন, আর তা থেকেই ভয় পেয়ে যান ব্যক্তি। তিনি ওই এজেন্টের রাগ দেখে বেশ ভীত হয়ে যান বলে দাবি করেন।