তামিলনাড়ুর কৃষ্ণগিরিতে ভয়াবহ ঘটনা। এক ডিএমকে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে লোকলস্কর নিয়ে গিয়ে ভারতীয় সেনার এক জওয়ানকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে। তারা দাদাও গুরুতর জখম হয়েছেন। ৩৩ বছর বয়সী ওই সেনা জওয়ানকে কার্যত নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একটি পুকুরে জামাকাপড় কাচা নিয়ে গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তারপরই এনিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাউন্সিলরের লোকজন। এমনই অভিযোগওই মৃত সেনা জওয়ানের নাম প্রভাকরণ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ডিএমকে কাউন্সিলর চিন্নাস্বামী ও প্রভাকরণের মধ্য়ে উত্তপ্ত বাক্য় বিনিময় হয়। এরপরই ৯জনকে নিয়ে সেনা জওয়ানের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন চিন্নাস্বামী। তার দাদা প্রভুকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।এদিকে মারধরের জেরে প্রভাকরণ মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বেসরকারি নার্সিংহোমে তার মৃত্য়ু হয়। এরপর প্রভুর অভিযোগের ভিত্তিতে ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়। চিন্নাস্বামীর ছেলে রাজাপান্ডিকেও গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ চিন্নাস্বামীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন।স্থানীয় সূত্রে খবর, কাউন্সিলেরর বাড়ির কাছেই পুকুরটি রয়েছে। সেখানে জামাকাপড় কাচতে বারন করেছিলেন চিন্নাস্বামী। কিন্তু তা শোনেননি প্রভাকরণ। এনিয়ে তাদের মধ্যে বচসা হয়। পরে লোকজন জড়ো করে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।এদিকে ভারতীয় জনত পার্টির রাজ্য সভাপতি কে আন্নামালাই জানিয়েছেন, প্রভাকরণের মৃত্যুতে শোকাহত। এই ঘটনা কোনওভাবেই মানা যায় না। ডিএমকের বিরুদ্ধেও সুর চড়ান তিনি। তিনি বলেন ডিএমকে জমানায় আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। একেবারে তলানিতে গিয়েছে পরিস্থিতি। এমনকী এই পরিস্থিতিতে সেনা জওয়ানরাও সুরক্ষিত নন। নিজের বাড়ির কাছেও সেনা জওয়ানরা সুরক্ষিত নন।এনিয়ে বিজেপি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।এদিকে এভাবে সেনা জওয়ানের মৃত্যুকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেনা জওয়ানের উপর এভাবে শাসকদলের বিধায়কের চড়াও হওয়ার ঘটনা মানতে পারছেন না অনেকেই। গোটা ঘটনায় তামিলনাড়ুর রাজনীতিতেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক //htipad.onelink.me/277p/p7me4aup