টিকিট পরীক্ষকের পর এবার চলন্ত ট্রেনে মহিলা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব করার অভিযোগ উঠল এক সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, ওই সেনা জওয়ান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন। ছত্তিশগড়ের হজরত নিজামুদ্দিন থেকে দুর্গগামী গন্ডোয়ানা এক্সপ্রেসের এসি কোচে ঘটনাটি ঘটেছে। গোয়ালিয়র পৌঁছনোর কিছুটা আগেই ওই সেনা জওয়ান মহিলা যাত্রীর গায়ে প্রস্🧸রাব করে ফেলেন বলে অভিযোগ। তবে 🌌এত বড় ঘটনার পরেও সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে রেলের তরফে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: হাওড়াগামী ট্൩রেনে মহিলা যাত্রীর গায়ে প্রস্রাব মাতাল TTE-র, এসি কামরায় একী কাণ্ড!
জানা যাচ্ছে, ছত্তিশগড়ের বা𝐆সিন্দা ওই মহিলা ৭ বছরের শিশুকে সঙ্গে নিয়ে হযরত নিজামুদ্দিন থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন। ৯ বি কোচের ২৩ নম্বর সিটে তিনি ভ্রমণ করছিলেন। আর সেনা জওয়ান ২৪ নম্বর বার্থে ছিলেন, অর্থাৎ মহিলার ঠিক উপরে সিটেই ছিলেন ওই সেনা জওয়ান। ট্রেনটি গোয়ালিয়র পৌছনোর কিছুটা আগেই ঘটে প্রস্রাবের ঘটনা। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় তিনি মহিলার উপর প্রস্রাব করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কথা মহিলা তাঁর স্বামীকে জানান। এরপর তাঁর স্বামী রেলের হেল্পলাইনে ফোন করে অভিযোগ জানান। এরপর আরপিএফ কর্মীদের জানানো হয়।
জানা যাচ্ছে, গোয়ালিয়রে আরপিএফ কর্মীরা ট্রেনে উঠেছিলেন। তখন তাদেরকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। এদিকে, সেনা জওয়ানের প্যান্ট ভিজে থাকতে দেখার পরেও আরপিএফ তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। এই পদক্ষেপে তীব্র সন্তোষ প্রকাশ করেন ওই মহিলা। তিনি সমাজ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং রেলমন্ত্রীর কাছে এবিষয়ে অভিযোগ জানান। যদিও আরপিএফের ত🌺রফে জানানো হয়েছে, তারা ট্রেনে উঠে মহিলাকে সিটে খুঁজে পাননি। তবে তারা এটা নিশ্চিত করেছেন, যে ওই সেনা জওয়ান মদ্যপ অবস্থায় নিজের সিটে ঘুমিয়ে ছিলেন। এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরপিএফের ꧟টিআই সঞ্জয় আর্য এই ধরনের অভিয🌸োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে আরপিএফের কর্মীরা ট্রেনে উঠেছিলেন। তবে সেই সময় মহিলা যাত্রীকে পাওয়া যায়নি। সেই কারণে সেনা জওয়ানকে ট্রেন থেকে নামানো হয়নি। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, মদ্যপান করে ছিলেন ওই সেনা সেনা জওয়ান এবং তার প্যান্টও ভিজে ছিল।