ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এবার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ই পলানিস্বামীকেই বিরোধী দলনেতা হিসেবে বেছে নিল এআইএডিএমকে। পলানিস্বামী ও পনীরসেলভমের মধ্যে দলের মধ্যে কে হবেন বিরোধী দলনেতা, তা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে দড়ি টানাটানি চলে। শেষপর্যন্ত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকেই বিরোধী দলের নেতার গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়।মঙ্গলবার তামিলনাডুতে নবনিযুক্ত বিধায়কদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে। তার আগে সোমবার চেন্নাইতে দলীয় কার্যালয়ে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন এআইএডিএমকে নেতারা।বৈঠকের পর কোনও সাংবাদিক বৈঠক না করা হলেও দলের তরফে টুইট করে জানিয়ে দেওয়া হয়, ই পলানিস্বামীকেই বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। দলের বর্ষীয়ান নেতা কে পি মুনুস্বামীও জানান, পলানিস্বামীকেই বিরোধী দলের নেতা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে।এআইএডিএমকের প্রতিষ্ঠতা সদস্য সি পননাইয়ানের মতেও, পলানিস্বামীকেই সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধী দলের নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে।দলের অভ্যন্তরে যাই হোক না কেন, দলীয় কার্যালয়ের বাইরে চিত্রটা কিন্তু আলাদাই ছিল।পলানিস্বামী ও পনিরসেলভম গোষ্ঠীর দুই পক্ষের কর্মীরাই এদিন দলীয় কার্যালয়ের বাইরে ভিড় জমিয়েছিলেন।তামিলনাডুতে ২৪ মে পর্যন্ত লকডাউন চলছে।কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যেও দুই পক্ষের কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হওয়া ছিল চোখে পড়ার মতো।এর আগে গত শুক্রবার এআইএডিএমকের বৈঠক বসেছিল। সেদিন দলের নব-নিযুক্ত বিধায়কদের দোতলায় বসিয়ে এক তলায় পনিরসেলভম ও পলানিস্বামী সহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের মধ্যে আলোচনা হয়। সেই আলোচনা থেকে বিরোধী দলনেতা বাছাই নিয়ে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি বলেই খবর প্রকাশ্যে আসে। তবে এই প্রসঙ্গে দলের এক প্রথম সারির নেতার মত, দলের মধ্যে কোনও অসন্তোষ নেই।এটা সবকিছুই মিডিয়ার তৈরি করা।আসলে সেই বৈঠকে দলের নির্বাচনে ব্যর্থতার দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে।উত্তর ও দক্ষিণ ক্ষেত্রে দলের ফল মোটেও ভালো হয়নি।