ঊর্ধ্বমুখী ভোজ্য তেলের দামে কিছুটা লাগাম পড়ল। মিলল কিছুটা স্বস্তির খবর। লিটারপিছু সয়াবিন তেল এবং পাম তেলের দাম চার টাকা কমল বাংলাদেশে। যদিও একাংশের দাবি, খুচরো বাজারে এখনও সেই বেশি দামেই তেল কিনতে হচ্ছে।করোনাভাইরাসের দাপটের মধ্যে বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল ভোজ্য তেলের দাম। বাদ পড়ছিল না সয়াবিন তেলও। গত ২৭ মে বাংলাদেশে লিটারপিছু সয়াবিন তেলের দাম একলাফে ন'টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৫৩ টাকা। মাসখানেক পর কিছুটা রেহাই দিয়ে প্রতি লিটারে চার টাকা দাম কমানো হয়েছে। ভোজ্য তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, নয়া দাম বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হয়েছে।সেই হিসাব অনুযায়ী, আপাতত বাংলাদেশের লিটারপিছু বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে খরচ হবে ১৪৯ টাকা। আর খোলা কিনলে ১২৫ টাকার মতো দাম পড়বে। তাতে মধ্যবিত্ত কিছুটা স্বস্তি পেলেও মে'র দ্বিতীয় সপ্তাহের থেকে দাম এখনও বেশি আছে। তবে পাঁচ লিটারের বোতলের দাম কমেছে ১৬ টাকা। আগে পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল কিনতে হত ৭২৮ টাকায়। বৃহস্পতিবার থেকে তা ৭১২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। অন্যদিকে, লিটারপিছু খোলা পাম তেলের দাম চার টাকা কমে দাঁড়াচ্ছে ১০৮ টাকা।যদিও খুচরো বাজারের ছবিটা আলাদা বলে অভিযোগ উঠছে। বৃহস্পতিবার থেকে নয়া দাম কার্যকরের ঘোষণা করা হলেও খুচরো বাজারে তা মালুম হচ্ছে না অভিযোগ ঢাকার ক্রেতাদের একাংশের। তাঁদের দাবি, শুক্রবারও লিটারপিছু ১৫৩ টাকায় সয়াবিন তেল কিনতে হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেলে বিকোচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। বিষয়টি নিয়ে এক ব্যবসায়ী জানান, তেলের দাম যে কমানো হয়েছে, সে বিষয়ে খবর শুনেছেন। নয়া তেলের দর এসে এখনও পৌঁছায়নি। তাই পুরনো দরেই তেল বিক্রি হচ্ছে। অপর এক দোকানদার জানিয়েছেন, নয়া হার কার্যকর হতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।