সরষের তেল থেকে রিফাইন্ড তেল - গত এক বছরে দেশে বেড়ে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম। তার জেরে মধ্যবিত্তের হেঁশেলে রীতিমতো আগুন লেগেছে। আমজনতার মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারইমধ্যে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন, শীঘ্রই ঘরোয়া বাজারে কমবে ভোজ্য তেলের দাম।বেঙ্গালুরুতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভোজ্য তেলে (বিদেশের) উপর ভারতের নির্ভরশীলতা অত্যন্ত বেশি। তৈলবীজের উৎপাদনের জন্য দেশে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। গত বছর অপরিশোধিত এবং রিফাইন্ড পাম তেলের আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবার তা ফের চালু হয়েছে। তার ফলে ভোজ্য তেলের দাম কম হবে।’গত মঙ্গলবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড ট্যাক্সেসের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, ৩০ জুন থেকে অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে। যা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কার্যকর হবে। তারপরে নয়াদিল্লির পাইকারি বাজারে কমে যায় কয়েকটি ভোজ্য তেলের দাম। পাইকারি বাজারে এক কুইন্টাল পাম তেলের দাম ২৭০ টাকা এবং রিফাইন্ড পামোলিনের দাম ২৫০ টাকা কমে যায়। তবে সরষের তেল এবং বাদাম তেলের দামে কোনও হেরফের হয়নি। 'হিন্দুস্তান টাইমস' গ্রুপের 'লাইভ হিন্দুস্তান'-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অপরিশোধিত পাম তেলের আমদানি শুল্ক হ্রাসের পর দেশীয় বাজারে প্রতি কুইন্টাল পাম তেলের দাম ২৭০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১০,২৫০ টাকা। দিল্লিতে কুইন্টালপ্রতি সয়াবিন মিল ডেলিভারি তেলের দাম ৫০ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩,৫০০ টাকা। তবে পাইকারি বাজারে প্রতি কুইন্টাল সরষের তেল এবং বাদাম তেল ১৪,২৬০ টাকা এবং ১৩,৩৫০ টাকায় বিকোচ্ছে।