এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কে যোগ দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের পদ ছাড়তে পারেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ, মণিপুর, গোয়া, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে সম্ভবত তিনি থাকছেন না। তাঁর জায়গায় এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হওয়ার দৌড়ে থাকলেন সুশীল চন্দ্র। বুধবার ম্যানিলার সদর দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, সংস্থার বেসরকারি বিভাগ ও সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব সংক্রান্ত বিভাগের দায়িত্বে ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে লাভাসাকে। আগামী ৩১ অগস্ট এই পদ থেকে অবসর নিতে চলেছেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট দিবাকর গুপ্তা। তাঁরই স্থলাভিষিক্ত হবেন লাভাসা।নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আরও দুই বছর মেয়াদ ছিল লাভাসার। ১৯৮০ ব্যাচের হরিয়ানা ক্যাডার এই আইএএস আধিকারিক অর্থ সচিব-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় সরকারি দফতরের দায়িত্ব সামলেছেন।লাভাসার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়ছে, সম্ভবত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মর্যাদাপূর্ণ পদে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করতে চলেছেন বর্তমান নির্বাচন কমিশনার। এক প্রাক্তন যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন, এই পদের মেয়াদ ত বছর, যা নির্বাচন কমিশনে লাভাসার মেয়াদের প্রায় সমতুল্য। এই বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি তাঁর অজ্ঞাত জানিয়ে হিস্দুস্তান টাইমস-কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। গত ৪০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দায়িত্বে বহাল নির্বাচন কমিশনার তাঁর পদ ছাড়বেন। এর আগে ১৯৭৩ সালে তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নগেন্দ্র সিং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) যোগ দেওয়ার জন্য ইস্তফা দেন। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোক সভা নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে ঘৃণাপূর্ণ ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠলে তাঁদের বেকসুর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তে নির্বাচন কমিশনের বিরোধিতা করেছিলেন কমিশনার লাভাসা। বিশেষ করে মোদীর বিরুদ্ধে তিনি বালাকোট আক্রমণের নামে ভোট চাওয়া, প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর ওয়াইনাড কেন্দ্র থেকে জয়লাভকে ‘সংখ্যালঘু কেন্দ্র’ থেকে জয় হিসেবে মন্তব্য করা এবং ‘নব ভারত পাকিস্তানকে সমুচিত জবাব দিয়েছে’ মন্তব্য নিয়ে জোরালো সওয়াল করেন। মোদী ও শাহের ভাষণকে উস্কানিমূলক বক্তৃতা হিসেবে নির্বাচন কমিশন গণ্য না করার একমাত্র প্রতিবাদী ছিলেন কমিশনার লাভাসা।এর পরেই লাভাসা ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে আয়ে অসংগতির অভিযোগ করে আয়কর দফতর। তবে এখনও নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে লাভাসা আনুষ্ঠানিক পদত্যাগ করেছেন কি না, তা জানতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস।