‘২৬/১১ মুম্বই হামলায় জড়িত সন্ত্রাসবাদী আজমল কাসভ বিচার পেয়েছে এ দেশে।’ জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জম্মু কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ)-এর নেতা ইয়াসিন মালিকের মামলায় এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। এই মন্তব্য করে ইয়াসিন মালিকের জন্য দিল্লির ভিতরে একটি আলাদা আদালত কক্ষ স্থাপন 💧করে মামলা শুনানি করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত।
আরও পড়ুন: লাদেনের 🔜সঙ্গে ইয়াসিন মালিকের তুলনা করছে NIA꧑, আদালতে ফাঁসির আবেদন
১৯৮৯ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুফতি মহম্মদ সঈদের মেয়ে রুবাইয়া সঈদের অপহরণ মামলায় সাক্ষীদের জেরা করার জন্য ইয়াসিনকে সশরীরে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। বিচারপতি এএস ওকা এবং বিচারপতি এজি মসিহের বেঞ্চে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। শুনাতিতে মালিককে জম্মুর আদালতে সশরীরে হাজিরা করা নিয়ে আপত্তি জানায় সিবিআই। তাদের বক্তব্য, ইয়াসিনকে জম্মুতে হাজির করা হলে সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। এদিন সিবিআইয়ের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি ইয়াসিনকে সশরীরে হাজিরার পরিবর্তে তিনি ভি💃ডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজিরার প্রস্তাব রাখেন। যদিও বেঞ্চ এক্ষেত্রে💛 জম্মুর দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগের কথা জানায়।
ইয়াসিন মালিক নিজেও জম্মুর আদালতে হাজিরা দিতে চান। তবে সিবিআইয়ের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে তার অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক স্তরের সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তাকে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি ব্যক্তিগতভাবে জম্মুর আদালতে হাজিরা দিলে সে ক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং শান্তি ব্যাহত হতে পারে। তখন বিচার প্রক্রিয়া স্থানান্তরের প্রস্তাব রাখেন মেহতা। তারপরে এ বিষয়ে সম্মত হয় বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্ট মন্তব্য করে, ‘আমাদের দেশে আজমল কাসভও ন্যায় বিচার পেয়েছিলেন এবং উচ্চ আদালতে তাকে আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছিল।’ শীর্ষ আদ♑ালত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে এই মামলায় মোট সাক্ষীর সংখ্যা কত তা জানতে নির্দেশ দিয়েছে। শীর্ষ আদালত আরও বলেছে, যে বিচারককে বিচারের জন্য রাজধানীতে আসতে বলার পাশাপাশি কারাগারের ভিতরে বিচারের আদেশ দিতে পারে। তবে এই বিষয়ে সমস্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্য আগে শুনতে হবে।