ক্ষমতা থাকলে দায়বদ্ধতাও স্বীকার করতে হবে। ফেসবুককে এই বার্তাই দিল সুপ্রিমকোর্ট। পাশাপাশি ফেসবুককে এক এক দেশে এক এক নীতি নিয়ে চলতে বারণ করল সুপ্রিমকোর্ট। উল্লেখ্য, দিল্লি বিধানসভায় হাজিরা এড়াতে ফেসবুক সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেখানে ফেসবুকের যুক্তি ছল যে তারা সোশ্যাল মিডিয়া। সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের তরফে বলা হয়, নিজেদের সুবিধা মতো আমেরিকায় পাবলিশার আর ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া হওয়া যায় না। একটা নীতি রাখতে হবে।এদিকে সুপ্রিমকোর্ট জানিয়ে দেয়, ফেসবুকের মতো সংস্থাকে দিল্লি বিধানসভা তলব করলে তারা হাজিরা দিতে বাধ্য। ফেসবুকের আবেদন খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানায় যে বিধানসভায় জবাবদিহি করতে না চাইলে তা ফেসবুক না করতেই পারে। অর্থাৎ তারা যদি কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না চায়, তবে তা এড়িয়ে যেতে পারে। শীর্ষ আদালত বলেছে, ভারতে ২৭০ মিলিয়ন ইউজার রয়েছে ফেসবুকের। কাজেই এই ক্ষমতা তাদের হাতে যারা তুলে দিয়েছে, তাদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে হবে ফেসবুককে।২০২০ সালের দিল্লি হিংসার ঘটনা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফেসবুককে ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লি বিধানসভার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আবেদন করেছিলেন ফেসবুক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহন। সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরবিচারপতি এসকে কল, বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী ও বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চ ১৮৮ পাতার নির্দেশিকায় জানিয়েছে, ফেসবুকের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম শক্তিক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তাদের মানুষকে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে। সেই কারণেই মানুষের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে বলে মত শীর্ষ আদালতের।আদালতের কথায় বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বিষয়ে মতামত গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ফেসবুক। তবে ভুল তথ্য দিয়ে কিছু ভুল কণ্ঠস্বরও এই প্ল্যাটফর্মে গলা তোলে। সেই চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে হয় সোশ্যাল মিডিয়াকে। তবে ফেসবুক যদি দিল্লি বিধানসভার শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষা কমিটির কোনও প্রশ্নের উত্তর দিতে না চায়, তাহলে সে জবাব না-ও দিতে পারে। এই অধিকার তাদের আছে।