ভুয়ো টিআরপি মামলার এফআইআরে নাম উঠলে অর্ণব গোস্বামীকে সমন পাঠানোর বিষয়ে রাজি হল মুম্বই পুলিশ। আর সেই পরামর্শ দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এস শিন্ডে এবং বিচারপতি মকরান্দ কার্নিকের বেঞ্চ জানিয়েছে, টিআরপি দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী অফিস🐻ার যদি অভিযুক্ত হিসেবে রিপাবলিক টিভির এডিটর-ইন-চিফের নাম যোগ করেন, তাহলে তাঁকে সমন পাঠাতে হবে। যা বাকি ওই চ্যানেলের আট কর্মীর ক্ষেত্রেও করা হয়েছিল।
সোমবার বম্বে হাইকোর্ไটে এজিআর আউটলায়ার মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের (যে সংস্থার হাতে রিপাবলিক টিভির মালিকানা আছে) দায়ের করা পিটিশনের শুনানি চলছিল। কান্দিভিলি থানায় ভুয়ো টিআরপি মামলায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে এজিআর। একইসসঙ্গে ‘সারা ভারতে প্রভাব থাকায়’ সেই মামলার তদন্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (সিবিআই) হাতে তুলে দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়।
এজিআরের তরফে আইনজীবী হরিশ সালভে দাবি করেন, এজিআর এবং রিপাবলিক টিভিকে ফাঁসানোর জন্য 'অজুহাত' এবং ‘ছদ্মবেশী’ তদন্ত করা হচ্ছে। সুশান্ত সিং রাজไপুত ও পালঘরে হত্যার ঘটনায় মুম্বই পুলিশকে একাধিক প্রশ্নে জর্জরিত করার জন্য তদন্তে পুরোপুরি পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে।
ভুয়ো TRP মামলা সংক্রান্ত যাবতীয় খবর দেখুন
যদিও সেই দাবি উড়িয়ে দেন মুম্বই পুলিশের আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি জানান, পালঘরের ঘটনার সঙ্গে টিআরপি মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, 'টিভির রেটিং কারচুপির জন্য টাকা দেওয়া এবং বাণিজ্যিক লাভের স্বার্থে টিআরপি বাড়াতে টাকা দꦕেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করছি আমরা।' একইসঙ্গে অর্ণবকে সুরক্ষাকবচ দেওয়ার যে আর্জি জানিয়েছিলেন সালভে, তা নিয়ে সিব্বল জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে তদন্ত আছে। অর্ণবের জন্য এফআইআর খারিজ করে দেওয়া যাবে না। কারণ এফআইআরে তাঁর নামই নেই। পাশাপাশি মামলাকারীদের আশ্বস্ত করে সিব্বল জানান, ইতিমধ্যে রিপাবলিক টিভির কর্মীকে তলব করেছে পুলিশ। তাঁদের কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।