লোকসভায় পাশ হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। বিরোধীদের তুুমুল হট্টগোলের মাঝেই এদিন লোকসভায় কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল পেশ করেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এরপরই এই বিল প্রসঙ্গে আলোচনা চেয়ে হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী সাংসদরা। এরই মাঝে লোকসভায় ধ্বনি ভোটে পাশ হয়ে যায় কৃষি আইন প্রত্যাহাক বিল। মনে করা হয়েছিল, এই বিলটি অন্তত নির্বিঘ্নে পাশ হবে সংসদে। তবে এই বিল নিয়েও হইচই শুরু করে বিরোধীরা।মূলত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কৃষকদের দাবির পক্ষে সওয়াল করেই সেই বিষয়টি এই বিলের সঙ্গে জুড়তে চেয়ে বিরোধীদের হট্টগোল। তবে বিল পাশ করার আগে এই নিয়ে আলোচনা করে বিলম্ব করতে চায়নি কেন্দ্র। এই আবহে লোকসভা অধ্যক্ষ ধ্বনি ভোটে এই বিল পাশ করার ঘোষণা করেন। এরপরই দুপুর দুটো পর্যন্ত লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি করার ঘোষণা করেন ওম বিড়লা।উল্লেখ্য, শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে রবিবার সর্বদলীয় বৈঠকেও কৃষি আইন প্রত্যাহার বিলের প্রসঙ্গ তোলে কংগ্রেস৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেই বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খার্গে। শুধু আইন প্রত্যাহার নয়, কৃষি উৎপাদনে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে আইন আনার ব্যাপারে চাপ দিতে বদ্ধপরিকর বিরোধীরা। তবে সেই চাপে মাথা নত করতে নারাজ কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, গত এক বছর ধরে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষক। বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন এমএসপি আইনের দাবি তুলেছে৷ এই আবহে মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী লোকসভায় পাশ হল কৃষি আইন প্রত্যাহার বিল। এরপর রাজ্যসভায় বিলটি পাশ হলে তা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে সইয়ের জন্য। তখনই আইনত বাতিল হবে বিতর্কিত তিন কৃষি আইন। তবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই এমএসপি নিয়ে চাপ দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করেছে বিরোধীরা।