🌺 আরশোলা, পোকা বা টিকটিকি নয়, অনলাইনে অর্ডার করা আইসক্রিম থেকে মিলেছিল মানুষের কাটা আঙুল। তা দেখে কার্যত আঁতকে উঠেছিলেন যুবক। গত বুধবার মুম্বইয়ের মালাড এলাকায় সেই ঘটনায় আগেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন পেশায় চিকিৎসক ওই যুবক। এবার সেই ঘটনায় ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (FSSAI) এবং ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FDA)-এর আধিকারিকরা ওই আইসক্রিম সংস্থার দুটি উৎপাদন ইউনিট পরিদর্শন করলেন।
আরও পড়ুনꩲ: 'প্রথমে ভেবেছিলাম বাদাম, পরে দেখি…'আইসক্রিমের মধ্য়ে ছিল কাটা আঙুল! দাবি চিকিৎসকের
👍জানা যাচ্ছে, গত শুক্রবার ইন্দাপুরে অবস্থিত আইসক্রিম সংস্থার ক্রিম উৎপাদন ইউনিটি এবং পুনেতে অবস্থিত অন্য একটি ইউনিট পরিদর্শন করেন। পরীক্ষার জন্য সেখান থেকে কিছু নমুনা এবং কাঁচামাল সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা। সমস্ত নমুনা এবং কাঁচামাল ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলে এক আধিকারিক জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মালাড থানার পুলিশের তরফে বুধবার মামলা রুজু হয়েছে।এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭২, ২৭৩ এবং ৩৩৪ ধারার অধীনে মামলা দায়ের হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তাছাড়া, আইসক্রিম থেকে যে আঙুলের টুকরো উদ্ধার হয়েছে সেটিও পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
🐟পুনে অঞ্চলের এফডিএ- এর যুগ্ম কমিশনার সুরেশ অন্নাপুরে জানিয়েছেন, দুটি ইউনিট থেকে পাঁচটি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আইসক্রিম সংস্থার তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে, যে আইসক্রিমে আঙুলের অংশ পাওয়া গিয়েছে সেটি ইন্দাপুরে ফরচুন ডেয়ারি ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডে তৈরি করা হয়েছিল। যদিও সংস্থাটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এখনও নোটিশ পায়নি বলেই জানা গিয়েছে।
♒উল্লেখ্য, ওই আইসক্রিম সংস্থার নাম হল ইয়ামো। সংস্থার তরফে বলা হচ্ছে, গ্রাহকের কাছ থেকে অভিযোগ তারা অভিযোগ পেয়েছেন। খাবারের গুণগত মান এবং নিরাপত্তা হল তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। গ্রাহক থানায় অভিযোগ করার পরেই উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। তদন্তে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে বলে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে।
ꦿউল্লেখ্য, গত বুধবার জনপ্রিয় ওই সংস্থার আইসক্রিম অনলাইনে অর্ডার করেছিলেন পেশায় চিকিৎসক ব্রেন্ডন ফেরাও। আইসক্রিমে কামড় দিতেই মুখে কিছু একটা বেঁধেছিল তাঁর। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন হয়তো সেটা বাদাম। কিন্তু, পরে কাছ থেকে দেখতেই তিনি আঁতকে ওঠেন। আসলে সেটি ছিল মানুষের কাটা আঙুল। তাতে নখও ছিল। তখন তিনি আইসক্রিম হাতে নিয়েই থানায় ছুটে গিয়েছিলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই সেই আঙুলের টুকরো ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তা নিয়ে স্পষ্ট হওয়া যাবে।