করোনা মোকাবিলায় ভারতকে ২০০টি ভেন্টিলেটর দিচ্ছে আমেরিকা। প্রথম দফায় ৫০টি ভেন্টিলেটর দ্রুত আসছে বলে জানালেন বরিষ্ঠ মার্কিন আধিকারিক। একই সঙ্গে তিনি স্পষ্ট করলেন যে এই ভেন্টিলেটরগুলির জন্য কোনও টাকা গুনতে হবে না ভারতকে। US Agency for International Development (USAID) বা আন্তর্জাতিক উন্নয়নের জন্য মার্কিন সংস্থার অস্থায়ী ডিরেক্টর রামোনা এল হামজাওই জানান যে এটা ডোনেশন, এর জন্য দাম দিতে হবে না।ভেন্টিলেটরের জন্য টাকা দিতে হবে কিনা, সেই নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল। কিন্তু রামোনা বলেন যে মার্কিন মানুষদের বড় মনের পরিচয় এটা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত সহ বিভিন্ন দেশকে মেডিক্যাল সাপ্লাই ও ভেন্টিলেটর দেবে তারা। ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রক, রেডক্রস ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে USAID। ভেন্টিলেটরগুলির ঠিকঠাক ডেলিভারি ও সঠিক ভাবে প্লেসমেন্ট যাতে হয় যায়, সেই ব্যাপারে সচেষ্টা তারা। রামোনা বলেন এর ফলে ভারতের যে প্রচেষ্টা সবাইকে সেরা স্বাস্থ্যসুবিধা দেওয়ার, সেটি সম্ভব হবে। তবে এই অনুদানের ফলে মার্কিন মুলুকে ভেন্টিলেটরে টান পড়বে না বলেও জানান তিনি। তবে রিপার্পোজড ভেন্টিলেটর বলতে মার্কিন প্রশাসন কী বোঝাতে চেয়েছে, সেটা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি রামোনা। ভেন্টিলেটর বানানোর ক্ষেত্রে মার্কিন সরকার, বেসরকারি সংস্থা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নন-প্রফিট সংস্থারা নিজেদের জ্ঞান ভারতের মতো বন্ধু দেশের সঙ্গে শেয়ার করে বলে জানান ইউএসএইডের অস্থায়ী ডিরেক্টর। জানা গিয়েছে, ট্রাম্প নিজেই সাফ জানিয়েছিলেন যে এই ভেন্টিলেটরের জন্য যেন কোনও টাকা না নেওয়া হয়। প্রস্তুতকারক সংস্থার বিল মিটিয়ে দেবে ইউএসএইড। মে মাসে ১০০ ও আগামী মাসে আরও ১০০টি ভেন্টিলেটর দেবে ইউএসএইড। আগামী সপ্তাহের মধ্যে পুরো নির্ঘণ্টটি প্রকাশ হবে। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন যে বন্ধু ভারতের জন্য ভেন্টিলেটর পাঠাচ্ছেন। করোনা প্রতিষেধকের খোঁজেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে বলে তিনি জানান। এর আগে ভারতের থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনিন নিয়েছিল আমেরিকা, যা করোনা প্রতিরোধে খাওয়া হয়। ট্রাম্প সোমবার জানান যে তিনি রোজ এই ওষুধ খাচ্ছেন।