আবারও আক্রান্ত বন্দে ভারত এক্সপ্রেস🎐। এবারের ঘটনাস্থল ছত্তীসগড়। অভিযোগ, ট্রায়াল রান চলার সময় সেমি হাইস্পিড এই অত্যাধুনিক ট্রেনে হামলা চালান এলাকারই কয়েকজন যুবক। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
🏅আরপিএফের এক আধিকারিক 'আজ তক'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, আগামী ১৬ তারিখ থেকে সংশ্লিষ্ট বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটির নিয়মিতভাবে যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার কথা রয়েছে। সেই কারণেই ট্রায়াল রান চলছিল। শুক্রবার সেই ট্রায়াল রান চলাকালীনই ট্রেনের উপর হামলা চালানো হয়।
আরপিএফের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ছত্তীসগড়ের মহাসন্মুদ অঞ্চলের বাগবাহরা রেল স্টেশনের কাছে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ট্রায়াল রান♔ চালানোর সময় ট্রেনের ভিতরেও সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা ছিলেন। তাঁরাই হামলার বিষয়টি উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে জানান।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ট্রায়াল রান চলাকালীন বাগবাহরা রেল স্টেশনের কাছে ট্রেনের কামরা লক্ষ্য করে একের পর এক পাথর ছোড়া🃏 হয়। এর ফলে ট্রেনের তিনটি কামরার জানলার কাচ ভেঙে যায়।
🍬এই খবর পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানো হয় রেল পুলিশের তরফে। পরবর্তীতে হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ যুবককে গ্রেফতার করা হয়। আরপিএফ সূত্রে খবর, ধৃতরা হলেন - শিব কুমার বাঘেল, দেবেন্দ্র কুমার, জীতু পাণ্ডে, লেখরাজ সোনওয়ানি এবং অর্জুন যাদব। এঁরা প্রত্যেকেই বাগবাহরা এলাকার বাসিন্দা।
꧙আরপিএফের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, এই হামলার ফলে সি২-১০, সি৪-১ এবং সি৯-৭৮ -এর কাচ ভেঙে গিয়েছে। এভাবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য ধৃত পাঁচজনের বিরুদ্ধেই রেলপথ আইনের ১৫৩ নম্বর ধারা অনুসারে মামলা রুজু করেছে। ধৃতরা কেন এই কাজ করলেন, আরও কেউ তাঁদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কিনা, সেসব জানতে তাঁদের জেরা করা হচ্ছে।
🐲প্রসঙ্গত, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। যখন থেকে অত্যাধুনিক এই ট্রেন পরিষেবা দিতে শুরু করেছে, তখন থেকেই ভারতের নানা প্রান্তে এই ট্রেন দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য ও হামলার শিকার হয়েছে। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-সহ অন্য়ান্য রাজ্যেও এমন ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে।
🐓ঠিক কী কারণে বন্দে ভারতের উপর এক শ্রেণির মানুষের এত আক্রোশ, সেটা স্পষ্ট নয়। তবে, সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময়ে নানা মহলের তরফে নানা দাবি করা হয়েছে।
♏যেমন - এর আগে যে অঞ্চলে বন্দে ভারতের কোনও স্টপেজ নেই, সেই অংশ দিয়ে ট্রেন চলার সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেকে দাবি করেছেন, মোদী সরকারকে অপদস্ত করার জন্যই নাকি রাজনৈতিক কারণে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভিন্ন সময় এই ধরনের হামলা চালানো হয়েছে।
🌊তবে, হামলার কারণ যাই হোক না কেন, এর ফলে আখেরে বারবার সরকারি সম্পত্তিই নষ্ট হচ্ছে। যা মেরামত করতে আমজনতার করের টাকা খরচ করতে হচ্ছে সরকারকে। উপরন্তু, এই ধরনের ঘটনায় যাত্রীরাও আতঙ্কিত ও নিরাপত্তহীনতার অভাব বোধ করছেন।