নির্ভয়া কাণ্ডের মতো ঘটনার মোকাবিলায় প্রতিটি থানাকে এবার ফরেনসিক তদন্তের জন্য সরঞ্জাম পাঠানোর উদ্যোগ নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে থানাতেই যাতে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে, এবার সেই উদ্যোগ নেওয়া হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া উচিত ছিল বলে অনেকে মনে করছেন। এত দেরীতে ঘুম ভাঙলে দেশ পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি একটি সেমিনারে যোগ দেন। সেখানে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেশি ঘটে এমন ১০০টি জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা যোগ দিয়েছিলেন। সেই সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব থানাকে নিয়ে ম্যাপিংয়ের কাজ হচ্ছে। যেখানে এই ধরনের ফরেনসিক কিট লাগবে, সেখানে তা সরবরাহ করা হবে। নির্ভয়া ফান্ড থেকেই এই অর্থ দেওয়া হবে।’ সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরও জানান, যারা এইভাবে নারী নির্যাতনের শিকার হবেন, তাদের সবরকম আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ওই আলোচনায় বিভিন্ন জেলার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও নীতি আয়োগ, পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের আধিকারিকরা হাজির ছিলেন।এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্ভয়া প্রকল্প নিয়ে জানিয়েছেন, দেশজুড়ে ডিজিটাল ওয়ান স্টপ সেন্টার তৈরি করা হবে। এই সেন্টারের মাধ্যমে তিন লাখ মহিলা উপকৃত হবেন। সরকার একটি আপৎকালীন হেল্পলাইন নম্বর চালু করার কথা ভাবছে। হেল্পলাইন নম্বরগুলি হল—১১২, ১৮১। যার মাধ্যমে প্রায় ১৪ লাখ মহিলার কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব হবে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে এই হেল্পলাইন পরিষেবা চালু থাকবে। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা হয়েছে।নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের সচিব রাম মোহন মিশ্র জানান, জেলাস্তরে প্রযুক্তিগত উন্নতির দিকে জোর দিতে হবে। যাতে এই পরিষেবা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ সচিব ভি এস কৌমুদি জানান, পুলিশ আধিকারিকদের ফরেনসিক তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গত বছর ৪ হাজার ফরেনসিক এভিডেন্স কিট পাঠানো হয়েছিল। আরও ১১ হাজার কিট থানাগুলিতে পাঠানো হবে।