মহারাষ্ট্রে🧔র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে অভিযোগ করলেন, মুম্বই পুলিশের অ্যাসিসট্যান্ট ইন্সপেক্টর সচিন ভাজকে ফোন করে প্রতি মাসে ১০০ কোটি টাকা তোলার নির্দেশ ꦫদিয়েছিলেন। যে সচিন আবার মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার মামলায় জড়িয়ে গিয়েছেন। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ।
শনিবার (২০ মার্চ) উদ্ধবকে লেখা চিঠিতে মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার দাবি করেন, গত কয়েক মাসে সচিনকে একাধিকবার ফোন করেছিলেন অন🌼িল। তাঁর জন্য টাকা তোলার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় সচিনকে ফোন করেছিলেন অনিল। সেই সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবও উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় সচিনকে ১০০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছিলেন অনিল। কীভাবে সেই টাকা তোলা যাবে, তারও নাকি একটা রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছিলেন। পরমবীরের দাবি, মুম্বইয়ে ১,৭৫০ টির মಞতো পানশালা, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান আছে। যদি সেগুলির থেকে দু'তিন লাখ আদায় করা যায়, তাহলে ৪০-৫০ কোটি টাকা তোলা যাবে বলে জানান অনিল। বাকি টাকা অন্যান্য জায়গা থেকে তোলার আদায় করার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছেন পরমবীর।
চিঠিতে পরমবীর লিখেছেন, 'সেদিনই সচিন ভাজ আমার অফিসে আসেন এবং সেই বিষয়টি জানান। সেই ঘটনায় আমি রীতিমতো হতবাক হয়ে যাই। সেই পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো হবে, তা নিয়ে আলোচনা করতে থাকি।' তবে শুধু সচ💮িন নন, পরমবীরের দাবি, মুম্বই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্র্যাঞ্চের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাতিলকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব জানান যে ১,৭৫০ টি পানশালা, রেস্তোরাঁ এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে ৪০-৫০ কোটি টাকা তোলার লক্ষ্যমাত্রা আছে অনিলের। সেই ঘটনার বিষয়ে পাতিল তাঁকে জানান বলে দাবি করেছেন পরমবীর।
যদিও পরমবীরের সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অ্যান্টিলা (আম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখা) এবং মনসুখ হিরেনের মামলায় সচিন ভাজের প্রত্যক্ষ যোগাযোগের 🍌বিষয়টি সামনে আসছে। পরমবীর সিং ভয় পাচ্ছেন যে বিষয়টি সেই মামলার রেশ তাঁর কাছে পৌঁছে যাবে। আইনি পদক্ষেপ🌠 থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য উনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’