অবশেষে মুক্তি। ক্যাপিটল–কাণ্ডের জেরে পাঁচদিন ধরে ট্রায়ালের পরে অবশেষে খালাস হলেন পূর্বতন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় ইমপিচমেন্ট মামলায় ভোটে হারলেও কেবলমাত্র নিয়মের ফেরেই শাস্তি পাচ্ছেন না তিনি। অনেক সেনেটর ট্রাম্পকে অভিযুক্ত হিসেবে মানতে নারাজ। তাই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন তাঁরা।সেনেটে ৫৭–৪৩ ভোটে হারেন ট্রাম্প। খোদ সাতজন রিপাবলিকানও প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেহেতু দুই–তৃতীয়াংশ ভোট অর্থাৎ ৬৭টি ভোট পড়েনি তাই শাস্তির হাত থেকে বেঁচে গেলেন। অনেকেই তাই বলছেন, ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটলে তাণ্ডবে সমর্থকদের উস্কানি দেওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ইমপিচড করেছিলেন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের প্রতিনিধিরা। স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছিলেন, ‘তার (ট্রাম্প) অবশ্যই যাওয়া উচিত। আমরা যে দেশকে ভালোবাসি, সেই দেশের পক্ষে বিপজ্জনক উনি।’ তারপর ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে মার্কিন সেনেটে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইমপিচমেন্ট শুনানি শুরু হয়েছিল। শনিবার ভারতীয় সময় গভীর রাতে হয় ভোটাভুটি। তাতেই এই ফলাফল বেরোয়। যা দেখে বোধহয় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ট্রাম্প।এই রায় সামনে আসার পরেই বিবৃতি দিতে দেখা যায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। ট্রাম্পকে লিখতে দেখা যায়, আমেরিকার কোনও রাষ্ট্রপতিই কখনও এই অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাননি। এটা মার্কিন ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়। আইনের শাসনের কাছে আমি সর্বদাই জিতে এসেছি। তবে কোনওরকম ঘৃণা–কুৎসা ছড়ানো ছাড়াও সমস্ত আমেরিকানদেরই শান্তিপূর্ণভাবে যে কোনও বিষয়ে আলোচনা করার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।আর এই বিষয়ে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘এটা আমাদের ইতিহাসে অত্যন্ত দুঃখজনক অধ্যায়। যা আমাদের মনে করিয়ে দেয় গণতন্ত্র ভঙ্গুর। এটা অবশ্যই আমাদের আটকানো উচিত। আমেরিকায় হিংসার কোনও জায়গা নেই। আর আমাদের প্রত্যেক আমেরিকানদের দায়িত্ব–কর্তব্য সত্যকে সামনে নিয়ে আসা এবং মিথ্যাকে পরাজিত করা।’