নর্থ গোয়ার সমুদ্রের ধারে সেলফি তুলতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন চারজন। গোয়ার কোয়েরিম বিচে রবিবারের গ্রুপ পিকনিকের পরে সেলফি তুলতে গিয়েছিলেন তারা। আর তখনই ভয়াবহ দুর্ঘটনা। ররিবার ১৭ বছর বয়সী সাকিনা খাতুন, ২৫ বছর বয়সী মহম্মদ ওয়াকিল আলির দেহ পাওয়া যায়। আর সোমবার ১২ বছর বয়সী থাবস্তুন খাতুন ও ১৬ বছর বয়সী মহম্মদ আলির দেহ মিলেছে। ওই চারজনই নর্থ গোয়ার কান্ডোলিম এলাকার বাসিন্দা। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনাটি হল?পুলিশ সূত্রে খবর, ওই চারজনই সৈকতের কাছে একটা বড় পাথরে উঠে সেলফি তুলছিলেন। এমন সময় একটি বিরাট ঢেউ তাদের ঠেলে সমুদ্রে ফেলে দেয়। নর্থ গোয়ার পুলিশ সুপার নিধিন ভালসান জানিয়েছেন, লাইফ গার্ডরা চারজনের দেহ সমুদ্র থেকে পেয়েছেন। এরপর তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছেন তাদদের মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছিল।এদিকে লাইফগার্ডিং এজেন্সির তরফে জানা গিয়েছে, অন্তত ২০-২২জনের একটি গ্রুপ কোয়েরিম বিচ থেকে আরামবোল মিষ্টি লেকের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তাদের মধ্যে থেকে চারজন সেলফি তোলার জন্য ওই পাথরের উপর উঠে পড়ে। কিন্তু ওই এলাকাটি আগে থেকেই নো সেলফি জোন হিসাবে ঘোষণা করা রয়েছে। এরপর সেখানে উঠতেই ঢেউ এর ধাক্কায় তারা ছিটকে পড়েন। এরপর লাইফসেভাররা দ্রুত তাদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কিন্তু তাদের শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।এদিকে চারজনের মধ্যে দুজনকে পাড়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের সিপিআর দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাদের বাঁচানো যায়নি। এরপর সোমবার আরও দুজনের দেহ সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই জায়গায় যাতে কেউ সেলফি না তোলেন সেকারণে সেখানে সাইনবোর্ড দিয়েও সতর্ক করা রয়েছে। কিন্তু তারা সেসব না শুনেই সেলফি তুলতে যান। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল ঢেউয়ের ধাক্কায়। হারিয়ে গেল তরতাজা চারটি প্রাণ।