গতকাল সামান্য উত্থান দেখা দিলেও আন্তর্জাতিক ট্রেন্ড অনুসরণ করে বৃহস্পতিবার আবার ভারতের বাজারে সোনার দাম সস্তা হল। এ দিন এমসিএক্স সূচকে ০.৪% পতনের জেরে প্রতি ১০গ্রাম সোনার দাম যাচ্ছে ৫০,৩৬০ টাকা। আর সূচকে ০.৯% পতনের ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম যাচ্ছে ৬১,০৬৪ টাকা।বুধবার বিকেলে বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সূচকে ০.৫% বৃদ্ধি পেয়েছিল সোনার দাম আর ১.৬% বেড়েছিল রুপোর দর।আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের দাম উঁচু তারে বাঁধা থাকায় সোনার দামে প্রভাব পড়েছে। এ দিন স্পট গোল্ড সূচকে ০.৪% পতনের জেরে প্রতি আউন্স সোনার দাম যাচ্ছে ১,৮৯৩.১৭ ডলার। পাশাপাশি, সূচকে ১% পতনের ফলে রুপোর দাম যাচ্ছে আউন্সপ্রতি ২৪.০৫ ডলার। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন অর্থনীতিতে আসন্ন কোনও আশাব্যাঞ্জক নীতি প্রণয়নের সম্ভাবনা তৈরি না হওয়া এবং ডলারের দাম থিতু থাকা এবং একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে কোভিড অতিমারীর হার বাড়ার কারণে সোনার দামে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না। তবে একই কারণে সোনায় বিনিয়োগের হার অচিরে বৃদ্ধি পাবে বলেই মনে করছেন জিওজিৎ ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস-এর পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান হরিশ ভি।সোনার দাম টালমাটাল থাকায় ইটিএফ লগ্নিকারীরা আপাতত ঝুঁকি এড়াতে চাইছেন বলেও মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।কোটাক সিপিওরিটিজ-এর তরফে জানানো হয়েছে, ‘মার্কিন অর্থনীতিতে সুস্পষ্ট সংস্কারমূলক বার্তা না আসা পর্যন্ত সোনার দামে ওঠাপড়া লেগে থাকবে। এই পরিস্থিতিতে দর পড়লে কেনার নীতিই অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। করোনা সংকটে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনায় লগ্নির প্রবণতা জারি থাকবে।’অন্য দিকে, ধাতু বিশেষজ্ঞ সংস্থা মেটাল ফোকাস-এর সঙ্গে কথা বলার পরে সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি বছরে বিশ্বের খনিগুলি থেকে মোট ৩,৩৬৮ টন সোনা উৎপন্ন হবে।২০১৯ সালের পরিসংখ্যানের তুলনায় যা ৪.৬% কম। তবে সোনার দামে উত্থানের প্রভাবে ২০২১ সালে উৎপন্ন সোনার পরিমাণ ৮.৮% বৃদ্ধি পেয়ে ৩,৬৬৪ টনে পৌঁছবে।