গাড়ির সামনের সিটে বাধ্যতামূলকভাবে জোড়া এয়ারব্যাগ লাগানোর মেয়াদ চার মাস বাড়াল কেন্দ্র। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বর্তমানে যে সব গাড়ি আছে, সেগুলির সামনের দুটি আসনের দুটি এয়ারব্যাগ লাগাতে হবে। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য চলতি বছর মার্চে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতে উৎপাদিত এবং বিক্রয় হওয়া সব গাড়ির সামনের দুটি আসনেই বাধ্যতামূলকভাবে এয়ারব্যাগ থাকতে হবে। সেজন্য ৩১ অগস্টের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। আপাতত ভারতে যে মডেলের গাড়িগুলি আছে, তাতে শুধুমাত্র চালকের আসনের সামনের বাধ্যতামূলকভাবে এয়ারব্যাগ ব্যবহার করতে হয়। তার ফলে দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চালকের সুরক্ষিত থাকলেও পাশের আসনে বসা যাত্রীর সামনে ঝুঁকির মাত্রা বেশি থাকে। নয়া মডেলের গাড়ির ক্ষেত্রে অবশ্য ১ এপ্রিল থেকেই সেই নিয়ম কার্যকর হয়ে গিয়েছে। তারইমধ্যে রবিবার সংবাদসংস্থা পিটিআইকে কেন্দ্রের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, ‘সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারসের তরফে (বাড়তি) সময় চাওয়া হয়েছে। নয়া মডেলের গাড়ির ক্ষেত্রে তা বাধ্যতামূলক হয়ে গিয়েছে।’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বর্তমানে যে সব গাড়ি আছে, সেগুলিতে বাধ্যতামূলকভাবে দুটি এয়ারব্যাগ লাগানোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।উল্লেখ্য, যাত্রী সুরক্ষা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের ভিত্তিতে সেই দ্বৈত এয়ারব্যাগ ব্যবহার লাগানোর নিয়ম বাধ্যতামূলক করার পথে হেঁটেছে কেন্দ্র। নির্দেশিকা অনুযায়ী, মামুলি কোনও এয়ারব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডসে (বিআইসি) উল্লিখিত এআইএস ১৪৫ মাপকাঠি পূরণ করতে হবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, সেই নির্দেশের ফলে ভারতীয় গাড়িগুলির সুরক্ষা আরও বাড়বে। তবে কম দামের গাড়িগুলির দামে সরাসরি প্রভাবও পড়বে।