উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর জ্ঞানবাপী মামলায় এদিন বারাণসী কোর্ট কার্যত হিন্দপু আবেদনকারীর সওয়ালের পক্ষে নির্দেশ দেয়। আদালত জানিয়েছে, জ্ঞা๊নবাপী কম্প্লেক্সে পূজার্চনার আবেদনের শুনানি হবে। এরফলে 'অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটির' তরফের আবেদন খারিজ হয়। ঘটনার পরই আনন্দে নাচতে থাকেন এই মামলায় হিন্দুপক্ষের তরফে আবেদনকারী মঞ্জু ব্যাস।
বারাণসী কোর্টের নির্দেশের খবর পেয়েই কার্যত মঞ্জু ব্যাস আনন্দে উৎসবে মুখরিত হতে থাকেন। তাঁকে নাচতেও দেখা যায়। তিনি বলেন, ‘ আজ ভারত খুশি, আমার হিন্দু ভাইবোনেরা আজ উদযাপন করতে বাড়িতে প্রদীপ জ্বালাক।’ শুধু মঞ্জুই নন, তাঁর সঙ্গে থাকা অনেক মহিলাই আনন্দে নাচতে থাকেন। জ্ঞানবাপী শৃঙ্গার গৌরী মামলায় আদালতের নির্দেশে তাঁরা খুশি। এদিকে, পূজার্চনার মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে 'অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি। তাঁদের পক্ষের আইনজীবীর দাবি, ১৯৯১ সালের উপাসনা স্থল রক্ষা আইন অনুযায়ী এমন কোনও দাবির পক্ষে শুনানি হতে পারে না। তিনি জানান, ব্রিটিশ যুগেও জ্ঞানবাপীতে মন্দির গড়ার দাবি ওঠে, সেই সময় ১৯৩৭ সালে জ্ঞানবাপীতে নমাজের অধিকার অক্ষুণ্ণ রাখা হয়। আসছে আরও এয়ারক্রাফ্🌠ট! ব্যবসা বি𒉰স্তার করতে Air India-র একাধিক বড় পদক্ষেপ
এদিকে, ১৯৯১ সালের যে আইনের কথা 'অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটি' বলছে, তার বিপক্ষে গিয়ে হিন্দু পক্ষের তরফে আইনজীবীরা বলেন, ওই আইন জ্ঞানবাপীর ক্ষেত্রে ধার্য নয়। এছাড়া তাঁরা তুলে ধরেন যে ১৯৪৭ সালের পরও শৃঙ্গার গৌরীস্থলে পুজো করার প্রমাণ রয়েছে। তার সপক্ষে ১২ জন সাক্ষীকেও আদালতে হাজির করে হিন্দুপক্ষ। এর আগে ২০২১ সালে ৫ জন হিন্দু মহিলা শৃঙ্গার গৌরীর পুজো ইস্যুতে জ্ঞানবাপীর অন্দরে পূজার্চনার দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁরা দাবি করেন, মন্দিরের পশ্চিমের দেওয়ালে রয়েছജে দেবমূর্তির অস্তিত্ব। এরপর এই ইস্যুতে সোমবার উঠে আসে আদালতের রায়।