ওবিসি তালিকায় ৭৭টি শ্রেণিকে যুক্ত করার সিদ꧟্ধান্তে অটল থাকল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ত্রিস্তরীয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। চালানো হয়েছিল দুটি সমীক্ষা। তারপর শুনানি হয়েছিল অনগ্রসর শ্রেণিদের কমিশনে। তবে কয়েকটি মুসলিম শ্রেণির ক্ষেত্রে সেই প্রক্রিয়াটা ২৪ ঘণ্টারও কম সময় সম্পূর্ণ করা হয়েছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
হলফনামা দাখিল রাজ্যের
গত ৫ অগস্ট রাজ্য সরকারকে সেই হলফনামা পেশের নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ৭৭টি শ্রেণিকে (৭৫টি শ্রেণিই মুসলিম) ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে বলেছিল শীর্ষ আদালত। যে অন্তর্ভুক্তিকরণের বিষয়টিকে খারিজ করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্য। হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়নি শীর্ষ আদালত। রাজ্যের থেকে পুরো প্রক্রಞিয়ার ব্যাখ্যা চেয়েছিল।
৩টি ধাপে হয় OBC তালিকায় অন্তর্ভুক্তিকরণ
সেই প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রথম ধাপে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আবেদন করতে হয়। শ্রেণি, জনসংখ্যা, বসবাসের স্থান, শিক্ষাগত যোগ্যতা, আর্থিক অবস্থার মতো বিভি🦩ন্ন তথ্য দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। সেই আবেদনপত্র পাওয়ার পরে সমীক্ষা চালায় কমিশন।
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১২ সালের আগে কমিশনের সদস্যরা সমীক্ষা চালাতেন। ২০১২ সালের পর থেকে সমীক্ষা চালাচ্ছে রাজ্য সরকারের 'কালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট'। সঙ্গে থাকেন নৃতত্ববিদরা। সেই সমীক্ষার সময় সংশ্লিষ্ট আবেদনের ভিত্তিতে শুনানির নোটিশ জারি করে থাকে কমিশন। কোন কোন ক্ষেত্রে আপত্তি আছে, সেটাও জান꧟ানো হয়।
বিভিন্ন তথ্য খতিয়ে দেখে কমিশন। সমীক্ষায় কী কী উঠে এসেছে, তা খতিয়ে দেখা হয়। তারপর জানিয়ে দেওয়া হয় যে আবেদন গৃহীত হয়েছে নাকি বাতিল করা হয়েছে। যদি আবেদন গ্রহণ করা হয়,𒉰 তাহলে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়ে থাকে। সেই সুপারিশ যায় রাজ্যের মন্ত্রিসভার কাছে। রাজ্💙য মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার পরে সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয় যে সংশ্লিষ্ট শ্রেণিকে ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
চোখের নিমেষে OBC তালিকায় অন্তর্ভুক্তি
ওবিসি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য ২০০৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবেদন করেছিল খোট্টা শ্রেণি। সেদিনই অন্তর্ভুক্তিকরণের আবেদন করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। একইভাব💎ে ২০১০ সালের ২১ এপ্রিল আবেদন করেছিল জমাদার সম্প্রদায়। সেদিন সুপারিশ করে দিয়েছিল কমিশন। শুধু তাই নয়, কয়েকটি কাজি, হাজারি, লায়েকের মতো কয়েকটি মুসলিম শ্রেণির ক্ষেত্রে আবেদনের আগেই সমীক্ষা চালানো হয়ে গিয়েছিল। কয়েকটি ক্ষেত্রে তো সমীক্ষা করার এক থেকে দু'বছরও আবেদন জমা পড়েছিল।