এমবিবিএসের ছাত্রদের আয়ুর্বেদ শেখানোর প্রস্তাব দিয়েছেন হরিয়ানা স্বাস্থ্যমন্ত্রী অনিল ভিজ। স্বাস্থ্যমন্ত্🐼রীর এই প্রস্তাবের পরেই সমালোচনায় সরব হয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। এমবিবিএসএস ছাত্রদের আয়ুর্বেদ শেখানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তারা এটিকে ‘মিকဣ্সোপ্যাথি’ বলে অভিহিত করেছে। এরকম হলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হবে বলে আইএমএ-র তরফে দাবি করা হয়েছে।
আইএমএ-র 🔯বক্তব্য, 🐻চিকিৎসা শিক্ষায় হাইব্রিডাইজেশন চিকিৎসা পরিষেবাকে বিপর্যস্ত করবে এবং এর ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাপকভ𝄹াবে ব্যাহত হবে। সাধারণত, ভ🅠ারতীয় মেডিক্যাল কাউন্সিল আইন ১৯৫৬ বাতিল করার পর ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন অ্যাক্ট ২০১৯ আইন অনুযায়ী চিকিৎসা শিক্ষা পরিচালিত হয়ে থাকে।
সেই হিসাবে, কোনও রাজ্য সরকারই দেশের চিকিৎসা শিক্ষার ওপর হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে দাবি করেছে আইএমএ। আইএমএ মন্꧒ত্রীর এই প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক, দুর্ভাগ্যজনক এবং অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে। মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, আয়ুর্বেদকে আমাদের প্রাচীন ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই এর জন্য আলাদাভাবে নীতি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, চিন একমাত্র দেশ যেখানে একই সঙ্গে বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতির সংমিশ্রণ দেখা যায়। এর ফলে চিনে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। কারণ এখানে আলাদাভাবে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা পদ্ধতির অনুশীলন করা হয় না। তবে চিন স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে ভারতের মডেল হতে পারে বলে মনে করছে আইএমএ। তাই আয়ুর্বেদ চিকিৎসা পদ্ধতি যেহেতু ভারতের ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা। তাই স্বতন্ত্রভাবে এই চিকিৎসা পদ্ধতির সংরক্ষণ প্রয়োজন বলে দাবি আইএমএ-র। যদি এমবিবিএসের পড়ুয়াদের আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শেখানো হয় সে ক্ষেত্রে ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই চিকিৎসা পদ্ধতি বিলুপ্ত হতে পারে বলেই আশঙ্কা করেছে আইএমএ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই প্রস্তাব নিযꦚ়ে সমালোচনা করে দাবি করেছেন, এটা কখনও সম্ভব নয়।