লোকসভা নির্বাচন সামনেই। যদিও এখনও নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে🍸নি জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তাꦕমাম বিরোধীরা একমঞ্চে এসে তৈরি করেছিল ইন্ডিয়া। বিজেপিকে হটানোর লক্ষ্যে যে ইন্ডিয়া তৈরি হয়েছিল এখন তার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূল, আপ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক দলের সমঝোতা হয়নি। তার মধ্যে নীতীশ কুমারের জেডি(ইউ) এবং রাষ্ট্রীয় লোক দল ইন্ডিয়া জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তাহলে ইন্ডিয়া জোটের অবস্থা কী? উঠছে প্রশ্ন। যদিও এই বিষয়ে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা জয়রাম রমেশের দাবি, শীঘ্রই ইন্ডিয়া জোটের সকল শরিককে নিয়ে আসন সমঝোতা হয়ে যাবে। আর এই দুটি দল জোট থেকে বেরিয়ে গেলেও কোনও প্রভাব পড়বে না।
এদিকে ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায় পৌঁছেছে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা। এখানেই সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেন জয়রাম রমেশ। সেখানেই ইন্ডিয়া জোট নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জবাবে জয়রাম রমেশ ব𓆏লেন, ‘ইন্ডিয়া জোট খুব শক্তিশালী। নীতীশ কুমার এবং আরএলডি এই জোটের সঙ্গে ছিল। এখন নেই। এখানে ২৮টি দল আছে। দুটি দল বেরিয়ে গিয়েছে। আলোচনার প্রক্রিয়া চলছে আপꦿ, ডিএমকে, এনসিপি, উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা শক্তিশালী আছি এবং আসন সমঝোতা নিয়ে শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অন্যদিকে ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা বাংলায় প্রবেশের পর অসহযোগিতার আঙুল তুলেছিলেন কংগ্রেস নেতারা তৃণমূল෴ের বিরুদ্ধে। তার উপর রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরাসরি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে বাংলা থেকে চ্যালেঞ্জ এসেছে বলে খোঁচা দেন। ৪০টি আসন পার করার প্রার্থনা তিনি করবেন বলে মজা করেন। এই আবহে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা তোপ দেগে জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘মোদীজি আগে বারবার বলেছেন, এক জাতি এক কর এবং এক দেশ এক নির্বাচন। কিন্তু বাস্তব হল—মোদী জমানায় এক দেশ এক কোম্পানি ১০ বছর ধরে চলছে। রাহুল গান্ধী এই পুঁজিবাদের বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলেছেন।’
আরও পড়ুন: ‘ঠাকুর তৈরি হয়ে চলে এসেছে’, দিঘার জগন্নাথ মন্দির ন🌃িয়ে বড় ঘোষণা করলেন মমতা
এছাড়া সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট কꦬরেছেন বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার কংগ্রেস আক্রমণ করেছে। তাই ক্ষুব্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই বিষয়ে জয়রাম খুব একটা কিছু বলেননি। কেন্দ্রীয় সরকার ও তাদের নীতিকে কাঠগড়ায় তুলে জয়রাম রমেশের কথায়, ‘শেষ ১০ বছরে মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং সরকারি সংস্থাকে বেসরকারির হাতে বেচেছেন প্রধানমন্ত্রী। বস্তারের এনএমডিসি স্টিল প্ল্যান্ট তিন বছর ধরে বিক্রি করে চলেছেন। জঙ্গল কেটে কয়লাখনি দেওয়া হচ্ছে। এনটিপিসি’র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ইতিমধ্যেই বিক্রি করেছেন। এমনকী ভিলাই, বোকারো, দুর্গাপুর এবং রাউরকেল্লা বিপদের মধ্যে রয়েছে।’