আইটি হার্ডওয়্যারের জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ বা পিএলআই স্কিমের দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুমোদন দিল কেন্দ্র। দেশের অভ্যন্তরে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লেকট্রনিক্সের উত্পাদনে উত্সাহ দিতে এই সিদ্ধান্ত। উত্পাদনকারী সংস্থাদের এই জাতীয় করছাড়, সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমেই বর্তমানে মোবাইল ফোন উত্পাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা দ্বিতীয় দফার সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়। আরও পড়ুন: ১ লক্ষ টাকা নিয়ে চাকরি ছাড়ুᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚন, চিনে আইফোন কারখানায় বিক্ষোভ থামাতে রফাসূত্র
এর অধীনে আগামী ছয় বছরের মধ্যে প্🐠রায় ১৭,০০০ কোটি টাকার সুবিধা প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে উচ্চ-প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স যেমন ল্যাপটপ, ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি), অল-ইন-ওয়ান কম্পিউটার, সার্ভার এবং ছোট ফর্ম ফ্যাক্টর ডিভাইস ইত্যাদির উৎপাদনে সহায়তা প্রদান করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর, এই বিষয়ে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অ𒐪শ্বিনী বৈষ্ণব।
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'কয়েক বছর আগেও আমদানি মানসিকতা ছিল। এখন সেই মানসিকতা বদলে গিয়েছে। এখন আমাদের লক্ষ্য হল সারা বিশ্বের চাহিদা🍨 পূরণ করা।'
এক সরকারি বিবৃতি অনুসারে, এই PIL-এর মাধ্যমে প্রায় ৩.৩৫ লক্ষ কোটি টাকার উত্পাদন ব্যবস্থা টেনে আনা যাবে। ২,৪৩০ কোটি টাকার নয়া বিনিয়োগ আসবে। আগামী ছয় বছরের মেয়াদে♑ ৭৫,০০০ নতুন কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ মোদী বলেন, 'আইটি হার্ডওয়্যারে꧃র জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ স্কিম - 2.0-এর বিষয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের কারণে এই সেক্টরে আমূল পরিবর্তন আসবে। এই স্কিমের ফলে কর্মসংস্থান বাড়বে, উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যে আমাদের ইকো-সিস্টেম আরও শক্তিশালী হবে এবং আরও বেশি বিনিয়োগের দিকে আমরা এগিয়ে যাব।'
ভারতে ইলেকট্রনিক্স উত্পাদন গত ৮ বছরে🐬 বার্ষিক(চক্রবৃদ্ধি) ১৭% হারে, ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চলতি বছর সমস্ত রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। উত্পাদনের একটি বড় মাইলফলক স্পর্শ করেছে ভারত। প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকার ইলেকট্রনিক্স উত্পাদন হয়েছে ভারতের মাটিতে। এই বিষয়ে কেন্দ্রের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিশ্বব্যাপী ইলেকট্রনিক্স উত্পাদনকরা ভারতে আসছে, এবং ভারত ধীরে ধীরে বিশ্বের একটি প্রধান ইলেকট্রনিক্স উত্পাদনকারী দেশ হিসাবে এগিয়ে আসছে।'
চিনের 'মেড ইন চায়না'-র ধাঁচে ভারতে 'মেক ইন ইন্ডিয়া'র লক্ষ্য গ্রহণ করেছে মোদী সরকার। আর সেটি বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোไগ।
করোনা পরিস্থিতি🐈, চিনের প্রতি পশ্চিমী বিশ্বের অনীহা ইত্যাদি সুযোগকেও কাজে লাগিয়েছে ভারত। চিন থেকে তাই উত্পাদন ব্যবসা টেনে নেওয়ার লড়াইয়ে নেমেছে কেন্দ্রꦬ।
উত্পাদনকারীদের টানতে গেলে শুধুমাত্র জমি বা পরিকাঠামো দিলেই হয় না। বিভিন﷽্ন কর ছাড়, কম হারে শুল্ক, নিয়ম বিধি পালনের ক্ষেত্রে নমনীয়তা ইত্যাদি নানা সুবিধা প্রদান করতে হয়। তবেই বিপুল টাকা বিনিয়োগ করতে সাহস পায় কোনꦕও বিদেশি সংস্থা। সেই কারণেই PLI স্কিমের মাধ্যমে প্রথম দফায় ভারতে বিদেশি উত্পাদকদের টেনে আনা হয়েছে।
চলতি সপ্তাহে, টাটা গ্রুপ তাইওয়ানের ইল꧋েকট্রনিক্স প্রস্তুতকারক উইস্ট্রন থেকে উত্পাদনের এক বৃহত্তর চুক্তির অংশ হিসাবে বেঙ্গালুরুর কাছে এ♋কটি কারখানায় অ্যাপেল আইফোন তৈরি করা শুরু করেছে।
তাইওয়ানের অপর এক বড় ম্যানুফ্যাকচারিং সংস্থা ফক্সকন তেলঙ্গানায় একটি নতুন কারখানার জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করছে। এর ফলে প্রায় ২৫,০০০ নতুন চাকরি তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের শেষেই এই কারখানায় উত্পাদন শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন🍌: বন্দে ভারতের চাকা তৈরি করবে বাংলার টিটাগড় ওয়াগনস ও রামকৃষ্ণ ফোর্জিং! চুক্তি ১২ꦅ,০০০ কোটি টাকার
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক