নেপালে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে কোনওরকম নাক গলাতে চায় না ভারত। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি স্পষ্টই জানিয়েছেন, নেপালের পরিস্থিতির ওপর ভারতের নজর রয়েছে।তবে এটা নেপালের একান্ত অভ্যন্তরীণ বিষয়।সম্প্রতি নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি পার্লামেন্ট ভেঙে দেন। জানা গিয়েছে, ওলির নিজের দল সিপিএন–ইউএমএলের মধ্যে চরম অশান্তি দানা বেঁধেছে।ইতিমধ্যে দলের এক নেতা মাধব কুমার নেপাল ও দলের আরও ১০ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছেন ওলি। এদিকে ওলির এই পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন মাধব ঘনিষ্ঠ দলের নেতারা।মাধব ছাড়াও দলের ২২ জন নেতা সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেন। নেপালের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা যাই থাকুক না কেন, ভারত অবশ্য এই বিষয়ে নাক গলাতে চায় না। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানান,‘নেপালে যে রাজনৈতিক অচলবস্থা চলছে, সেটা তাদের একান্ত অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। এটা তাঁদের গণতান্ত্রিক কাঠামো ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অঙ্গ। প্রতিবেশি দেশ হিসাবে ভারত অবশ্যই নেপালকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। নেপাল ও সেই দেশের নাগরিকরা যাতে শান্তি, প্রগতি ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায়, সেটাই ভারত চায়।উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়ে যায়। নেপালের সঙ্গে এই সময় চিনের সম্পর্ক ভালো হতে শুরু করে, যা নয়াদিল্লির নজর এড়ায়নি। ভারতের সঙ্গে নেপালের এই সময় সীমান্ত সমস্যাও মাথাচাড়া দিতে শুরু করে। গত বছর বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গায়াওয়ালির নয়াদিল্লিতে বৈঠক ও বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলার নেপাল সফরের পর পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়।তবে নেপালের নতুন রাজনৈতিক অচলাবস্থা এখন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এখন কোন পথে নিয়ে যায়, এখন সেটাই দেখার।