রেজাউল এইচ লস্কর
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব হল ভারত। সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইয়ে চিনের নীতি তুলে ধরে ভারতের তরফে আক্রমণ শানানো হয়। পাশাপাশি বলপূর্বক অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব খণ্ডন করার প্রসঙ্গ তুলেও চিনকে তোপ দাগে ভারত। অবশ্য কোনও ক্ষেত্রেই রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারতীয় দূত রুচিরা কম্বোজ চিনের নাম উল্লেখ করেননি। নাম না করেই পরপর আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। (আরও পড়ুন: আধার লিংক না করলে কি ভোটার তা꧂লিকা থেকে কাটা পড়বে নাম? স্পষ্ট করল EC)
আন্তর্জাতিক শান্তি ও সুরক্ষা সংক্রান্ত ဣএকটি বৈঠকে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন রুচিরা কম্বোজ। সেখানেই নাম না করে তিনি চিনের দ্বিচারিতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ’যেকোনও দেশ যদি জবরদস্তিমূলক বা একতরফা পদক্ষেপের মাধ্যমে বল প্রয়োগ করে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করতে চায়, তাহলে তা সাধারণ নিরাপত্তার অবমাননা। সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন দেশগুলি একে অপরের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করবে। যেমন তারা আশা করে যে তাদের নিজস্ব সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা হবে, তেমনই তাদেরকেও অন্য দেশের সার্বভৌমত্ব মানতে হবে।’
আরও পড়ুন: লাইনে প্রচুর বাঁক, দিল্লি-বারাণসী রুটে বুꦺলেট ট্রেনের প্রস্তাব খারিজ রেলের
ভারতীয় প্রতিনিধি আরও বলেন, ‘সাধারণ নিরাপত্তা তখনই 𒊎সম্ভব যখন দেশগুলো অন্যদের সাথে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক বা বহুপাক্ষিক চুক্তিগুলোকে সম্মান করে এবং সেইসব ব্যবস্থাকে বাতিল করার জন্য একতরফা পদক্ষেপ না করে। সাধারণ নিরাপত্তা তখনই সম্ভব যখন সন্ত্রাসবাদের মতো হুমকির বিরুদ্ধে সব দেশ একসঙ্গে দাঁড়াবে এবং এই ইস্যুতে দ্বিচারিতা করবে না।’
আরও পড়ুন: ভারতের পিনকোডে লেখা প্রতিটি সংখ্যার কী মানে জানেন? কোড-রহস্য ভেদ হয় 🌳কীভাবে!
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে ভারত আবদুল রউফ আজহারকে বিশ্বসন্ত্রাসবাদী তকমার দাবিতে সোচ্চার হয়। তখন ভারতের সেই দাবিতে জল ঢালতে উদ্যত হয়েছিল চিন। উল্লেখ্য, জইশ জঙ্গি নেতা মাসুদ আজহার👍ের ভাই আবদুল। এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগেও জঙ্গিদের বিশ্বসন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়ার ইস্যুতে পাকিস্তানের ঢাল হয়েছে চিন। এর আগে জুন মাসে চিন আবদুল রহমান মক্কির মতো জঙ্গিকে 'বিশ্বসন্ত্রাসবাদী' তকমার থেকে দূরে রেখেছিল। এই মক্কি হল জঙ্গি নেতা হাফিজ সউদের জামাই। প্রশ্ন উঠছে কেন এই পথ নিচ্ছে চিন? সাফ ফর্মুলায় চিনের ছক, ভারত যত বেশি পাকিস্তানি জঙ্গিদের নিয়ে নাস্তানাবুদ থাকবে ততই চিনের লাভ। পাকিস্তানের সঙ্গে জঙ্গি ইস্যুতে ভারতের সংঘাত জিইয়ে রাখতে পারলে চিনের আগ্রাসনে বাধা আসবে না। আর সেই লক্ষ্য নিয়ে বারবার পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঢাল হচ্ছে চিন এবং সন্ত্রাসবিরোধী নীতি নিয়ে কার্যত দু'মুখো নীতিতে এগোচ্ছে বেজিং।