বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সংস্কারের লক্ষ্যে নয় দফা প্রস্তাব পেশ করল ভারত। প্রস্তাবে আপৎকালীন স্বাস্থ্য সংকটের সময় নজরদারিতে প্রক্রিয়াগত পরিবর্তন এবং আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য সংকট ঘোষণা করায় সংগঠন প্রধানকে আরও ক্ষমতা অর্পণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।এ ছাড়া, রাষ্ট্রপুঞ্জ ও WHO কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো ওই প্রস্তাবে সংগঠনের তহবিলের ব্যয় এবং কোভিড ভ্যাক্সিন প্রাপ্তির জন্য প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক সংস্কার ও উন্নতি সাধনের কথাও বলা হয়েছে। এর আগে WHO-এর সংস্কার সম্পর্কে জি-২০ সম্মেলন ও ব্রিকস সম্মেলনে দাবি জানিয়েছে ভারত সরকার। সংগঠনের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বাস্তব পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার অভিযোগ একাধিকবার তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশেষ করে কোভিড অতিমারী সংক্রান্ত প্রাথমিক পদক্ষেপ নিয়ে মোদীর সমালোচনা সমর্থন করেছে একাধিক দেশ। সম্প্রতি পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক স্তরের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল হেল্থ রেগুলেশনস এমার্জেন্সি কমিটি গঠন করতে হয়েছে WHO প্রধানকে। ভারতের প্রস্তাব, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বিশ্ব জনস্বাস্থ্য সংকট ঘোষণা করার জন্য আরও ক্ষমতা প্রদান করা হোক WHO-এর রেক্টর জেনারেলকে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ঘোষণা প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ ও দ্রুত হয়, সেই বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।ভারতের অভিযোগ, WHO-এর অধিকাংশ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে অর্থ জোগানো হয় বাজেট অতিরিক্ত অনুদান থেকে, যা নির্দিষ্ট বিষয়ে ব্যয় করার কথা। এই তহবিল খরচের বিষয়ে WHO-কে আরও স্বাধীনতা দেওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করছে ভারত। সেই সঙ্গে সংগঠনের নিয়মিত বরাদ্দ বাড়ানোর বিষয়েও সওয়াল করেছে দিল্লি। WHO-এর বিভিন্ন উদ্যোগ বাছাই, তহবিল ব্যয় এবং লাগাতার নজরদারি নিয়ে সদস্য দেশগুলির ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ জানিয়েছে ভারত সরকার। সংগঠনের বরাদ্দ ও ব্যয় নির্দিষ্ট করতে সদস্য দেশগুলির সক্রিয় ভূমিকা পালন সুনিশ্চিত করা দরকার বলেও মনে করছে ভারত। পাশাপাশি, সংগঠনের সলিডারিটি রেসপন্স ফান্ড আরও মজবুত করার নিদানও রয়েছে ভারতের নয় দফা প্রস্তাবে।কোভিড অতিমারী মোকাবিলায় সব রকম হাতিয়ারের পক্ষপাতহীন, সুলভ ও সমান অধিকার সুনিশ্চিত করার পক্ষেও সওয়াল করেছে ভারত।