সোমবার ভারতীয় কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় শেষমেষ ভেসে উঠল এম ভি এভারগিভেন। উন্মুক্ত হল সুয়েজ খাল। এত কম সময়ে ভারতীয় কর্মীদের এই অসাধ্য সাধনের প্রশংসা এখন বিশ্বজুড়ে।এমভি এভারগিভেন বিশ্বের বৃহত্তম মালবাহী জাহাজগুলির মধ্যে একটি। সুয়েজ খালে আটকে যাওয়া জাহাজটির ২৫ জন কর্মীই ছিলেন ভারতীয়। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কঠোর পরিশ্রম করে তাঁরা জাহাজটি ফের জলে ভাসাতে সক্ষম হন। ২৫ কর্মীর প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছে জাহাজটির মালিক সংস্থা বার্নার্ড শুল্ট শিপ ম্যানেজমেন্ট। কর্মীদের পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেছে সংস্থা।ঠিক কী কারণে হঠাত্ মুখ ঘুরে গিয়ে সুয়েজ খালে আটকে গেল জাহাজটি? এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে এখনও পর্যন্ত কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি মেলেনি। ইঞ্জিনেরও কোনও সমস্যা নেই। এছাড়া জাহাজে থাকা টন টন জিনিসপত্রেরও কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানা গিয়েছে।আপাতত মিশরের গ্রেট বিটার লেক-এর দিকে এগিয়ে চলবে জাহাজটি। সেখানে পৌঁছনোর পর জাহাজটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন বিশেষজ্ঞরা। গত ২৪ মার্চ সকাল ৭ টা ৪০ নাগাদ পানামা খাল দিয়ে উত্তরদিকে ভূমধ্যসাগরের দিকে যাচ্ছিল বিশাল জাহাজটি। সেই সময়েই হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘুরে যেতে শুরু করে। শেষপর্যন্ত জাহাজের দুই মুখ সুয়েজ খালের দুই পাড়ে ঠেকে যায়। আড়াআড়িভাবে সুয়েজ খাল আটকে দাঁড়িয়ে পড়ে জাহাজটি। বিশ্বের অন্যতম ব্যস্ত জলপথ সুয়েজ খাল। সুয়েজ খালের মাধ্যমে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগর সংযুক্ত। এটি এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংক্ষিপ্ততম জলপথ।সুয়েজ খাল আটকে যাওয়ায় জলপথে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরপর যাত্রাপথে দাঁড়িয়ে যায় অগুনতি জাহাজ। জাহাজটিকে সরানোর চেষ্টায় এগিয়ে আসে মিশরের প্রশাসন। জাহাজ সরাতে বেশ কয়েকটি টাগ বোট নামানো হয়। সঙ্গে খালের দুই তীরে এক্সাভেটর দিয়ে মাটি কাটা শুরু হয়। অবশেষে প্রায় ১ সপ্তাহ টানা প্রচেষ্টার পর উন্মুক্ত হল বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ।