এবারের নির্বাচনে ব্রিটেনে রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় বংশোদ্ভূত রাজনীতিবিদ জয়ী হয়েছেন। যেমন কনজারভেটিভ, তেমনই শাসন লেবার পার্টির থেকেও বহু ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রার্থী জিতে হাউজ অফ কমনসে গিয়েছেন এবারে। এর আগে কনজারভেটিভ সরকারের সময়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন ভরতীয় বংশোদ্ভূতরা। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষি সুনক দায়িত্ব সামলেছেন প্রায় দেড় বছর। এর আগে তিনি সেদেশের অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন আরও এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রেভারম্যান। এছড়া প্রীতি প্যাটেলও একসময় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। আর এবার লেবার পার্টির নয়া সরকারেও ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদকে মন্ত্রী করা হল। (আরও পড়ুন: নয়া ইতিহাস ব্রিটিশ সংসদে, এবার হাউজ অফ কমনে যাচ🌳্ছেন কতজন ভারতীয় বংশোদ্ভূඣত?)
আরও পড়ুন: হার কট্টরপন্থার, ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪০ লাখ ভোটে জয়ী সংস্কারপন্থী 🙈মাসুদ
আরও পড়ুন: এবার নিজেকে 'কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা' বললেন জো বাইডেജন, নয়া বিতর্কে মার্কিন পꦿ্রেসিডেন্ট
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই লেবার পার্টির সরকারে সংস্কৃতি, মিডিয়া ও ক্রীড়া বিষয়ক সচিব হয়েছেন ব্রিটিশ ভারতীয় এমপি লিজা নন্দী। এই লিজার সঙ্গে কল꧑কাতার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ডের উইগান থেকে বিপুল ভোটে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ৪৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ ২০২০ সালে লেবার পার্টির লিডার হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। সেই দৌরে প্রথম তিনজনের মধ্যে গিয়েছিলেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত সেই যাত্রায় স্টার্মার লেবার ন🐟েতা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এবং সেই কিয়ের স্টার্মারই এবার লিজাকে সংস্কৃতি সচিব করলেন।
জয়ী হয়ে লিজা নন্দী বলেছিলেন, 'যারা আমাদের এই উইগান শহরে বর্ণবাদী রাজনীতি নিয়ে এসেছে, তাদের উদ্দেশে আমি বলতে চাই, উইগানের শ্রমজীবী মানুষ বিগত ১০০ বছর ধরে এই বিদ্বেষমূলক রাজনীতিকে কাছে ঘেঁষতে দেয়নি। বারবার এই শহর থেকে এই ঘৃণ্য রাজনীতিকে তাড়িয়েছে উইগানবাসী। তাই এই ফলাফলকে নিজের মার্চিং অর্ডার হিসেবে গ্রহণ করুন। আপনি এখানে এসে থাকতে পারেন। তবে নিজের বিভেদমূলক বক্তব্য অন্যত্র দেবেন। আমাদের এখানে অনেক কাজ আছে।' উল্লেখ্য, নির্বাচনে লিজা নন্দীর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অতিকট্টরপন্থী রিফর্ম ইউকে পার্টির প্রার্থী। উল্লেখ্য, লিজার বাবা দীক নন্দী একজন𝓡 শিক্ষাবিদ। কলকাতা থেকে তিনি ম্যাঞ্চেস্টারে গিয়েছিলেন। সেখানে এক ব্রিটিশ মহিলাকে বিয়ে করেছিলেন দীপক।