বুধবার রাতের দিকে ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন꧙্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানিকে হাসপাতালে ভরতি করা হল। নয়াদিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেসের (এইমস) তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'আপাতত নয়াদিল্লির এইমসে ভরতি আছেন এলকে আডবানি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল আছে। তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।' তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে, তা নিয়ে এইমস কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। সূত্রের খবর, হাসপাতালের জেরিয়াট্রিক বিভাগে (বয়স্ক মানুষকের চিকিৎসা সংক্রান্ত) ৯৬ বছরের আডবানির চিকিৎসা চলছে। যিনি দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন।
কয়েকদিনে মোদী, হাসিনাদের সঙ্গে দেখা করেন আডবানি
এমনিতে গত কয়েকদিন ধরে একাধিক শীর্ষনেতার সঙ্গে দেখা করেছেন আডবানি। তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্🥀ত্রী হওয়ার পরে গত ৭ জুন নয়াদিল্লিতে আডবানির বাসভবনে গিয়ে প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা 🅺করেন নরেন্দ্র মোদী। সরকার গঠনের দাবি জানানোর আগেই আডবানির সঙ্গে দেখা করেন।
দু'দিন পরেই আডবানির বাসভবনে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ফাঁকেই ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শনিবার (২২ জুন) কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর সঙ্গে দেখা করেন আডবানি। সেই সাক্ষাতের পরে হরদীপ জানান যে আডবানির আশীর্বাদ নিতে তাঁর বাস💝ভবনে যান।
'ভারতরত্ন' আডবানি, ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা কেন্দ্রের
লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আডবানিকে যে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হচ্ছে, সেই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অযোধ্যায় রামমন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার সপ্তাহদুয়েকের মধ্যেই সেই ঘোষণা করা হয়েছিল।🎀 যে আডবানি রামজন্মভূমি আন্দোলনেওর ‘মুখ’ হয়ে থেকেছেন। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রীকে ভারতরত্ন দেওয়ার মধ্যে বিশেষ তাৎপূর্য খুঁজে পাচ্ছিল রাজনৈতিক মহল।
সেইসময় আডবানিকে নিয়ে কী কী বলেছিলেন মোদী?
১) মোদী: আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে শ্র♊ী লালকৃষ্ণ আডবানিজি'কে ভারতরত্ন প্রদাℱন করা হচ্ছে।
২) মোদী: আমাদের সময়ের অন্যতম শ্রদ্ধেয় রাষ্ট্রনায়ক (হলেন আডবানিজি)। ভারতের উন্নয়নের ক্ষেত্রে❀ তিনি যে🧸 অবদান রেখেছেন, তা অভাবনীয়। তৃণমূল স্তরে কাজ করার মাধ্যমে তাঁর জীবন শুরু করেছিল।
৩) মোদী: তিনিই উপ-প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের দেশের সেবা করেছেন🍨। আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী হিসেবে উনি নিজেকে পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন।