সিং রাহুল সুনীলকুমারতেল আমদানির বাজারে ভারতের গোটা বিশ্বেই নামডাক রয়েছে।গত বছরের ডিসেম্বর মাসে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির নিরিখে এযাবৎকালের মধ্য়ে একেবারে শীর্ষ পৌঁছে গেল ভারত। ভোরটেক্সা সূত্রে খবর,প্রতি দিন ১ মিলিয়ন ব্য়ারেল করে আমদানি করা হয়েছে। গত বছর মার্চ মাস পর্যন্ত আমদানির পরিমাণ ছিল ০.২ শতাংশ। ডিসেম্বর মাসে তা দাঁড়ায় ১.১৯ মিলিয়ন বিপিডি।গত নভেম্বর মাসে ৯০৯.৪০৩ বিপিডি ক্রুড অয়েল আমদানি করা হয়েছিল। অক্টোবরে আমদানির পরিমাণ ছিল ৯৩৫.৫৫৬ বিপিডি। আর আগের রেকর্ড বলছে গত জুন মাসে সবথেকে বেশি অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয়েছিল রাশিয়া থেকে। তার পরিমাণ ছিল প্রায় ৯৪২.৬৯৪ বিপিডি।এদিকে সাধারণ ইরাক ও সৌদি আরব থেকেই তেল আমদানি করে থাকে অন্য়ান্য দেশগুলি। তবে সেই জায়গায় ক্রমেই এক নম্বর জায়গা দখলের দিকে এগিয়ে আসে রাশিয়া।এদিকে সূত্রের খবর, রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছিল ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এদিকে রাশিয়ার তেলের দাম ৬০ মার্কিন ডলারের থেকে কম হিসাবে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।এদিকে ভারত হল মোটামুটি গোটা বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় তেল ব্যবহারকারী ও তেল আমদানিকারক দেশ। সব মিলিয়ে ৮৫ শতাংশ তেল তারা আমদানি করে। সেই অপরিশোধিত তেল থেকেই তৈল শোধনাগারে পেট্রল ও ডিজেলে পরিণত করা হয়।এনার্জি ইনটেলিজেন্স ফার্ম ভোরটেক্সা সূত্রে খবর, ভারত গত ডিসেম্বর মাসে ইরাক থেকে ৮০৩.২২৮ বিপিডি তেল আমদানি করেছে। ৭১৮.৩৫৭ বিপিডি তেল সৌদি আরব থেকে এনেছে। ইউনাইটেড আরব এমিরেটস তেল আমদানিতে আমেরিকাকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে ইউনাইটেড আরব এমিরেটস থেকে ভারতে তেল এসেছে ৩২৩.৮১১ বিপিডি। অন্য়দিকে আমেরিকা থেকে ভারতের গত ডিসেম্বরে তেল আমদানি হয়েছে ৩২২.০১৫ বিপিডি।রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বের জেরে মধ্য প্রাচ্য থেকে ভারতে প্রায় ৬০ শতাংশ অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হচছিল।এদিকে যুদ্ধের সময় থেকে ভারতীয় পরিশোধনাগারের কাছে পশ্চিম আফ্রিকার অপরিশোধিত তেলের দাম যথেষ্ট বেশি বলে মনে হতে থাকে।এদিকে ভোরটেক্সার তথ্য় অনুসারে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারত রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৩৬.২৫৫ব্য়ারেল করে অপরিশোধিত তেল আমদানি করত। অন্যদিকে ইরাক থেকে নিয়ে আসা হত ১.০৫ মিলিয়ন বিপিডি, ৯.৫২.৬২৫ বিপিডি অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হত সৌদি আরব থেকে।