আচমকা রেগে গিয়ে পাকিস্তানের একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে চলে গিয়েছিল জাকির নায়েক। সেই ভিডিয়োটিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর ঠিক কী কারণে আচমকা ওই অনুষ্ঠান থেকে রেগেমেগে বেরিয়ে গিয়েছিল 'জঙ্গিদের আদর্শ' তথা ভারতের অন্যতম 'মোস্ট ওয়ান্টেড' জাকির, তা সামনে আনলেন ইমতিয়াজ মেহমুদ নামে ‘ইনফ্লুয়েন্সার’। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলামাবাদে🔴 যে অনাথ আশ্রমের অনুষ্ঠানে বিতর্কিত ধর্মপ্রচারক জাকির গিয়েছিল, সেখানে যখন মঞ্চে কয়েকজন বালিকাকে ডাকা হচ্ছিল, তখন তাদেরকে জাকিরের 'মেয়ে’ হিসেবে পরিচিত দেওয়া হচ্ছিল। আর তাতেই রেগে আগুন হয়েছিল 'জঙ্গিদের আদর্শ'। কেন ওই বালিকাদের তার ‘মেয়ে’ বলা হবে, তাতেই জাকির ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল বলে দাবি করেছেন ওই সোশ্যাল মিডিয়া ‘ইনফ্লুয়েন্সার’।
ওই সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইমতিয়াজ দাবি করেছেন, জাকিরের যুক্তি ছিল যে ওই বালিকাদের তো বিয়ের বয়স হয়ে গিয়েছে। তাই তাদের মোটেও তার 'মেয়ে' হিসেবে ডাকা উচিত নয়। ওই বালিকাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি ෴করেছিল জাকির। আর সেটা নিয়েই জাকির গজগজ করছিল বলে ইমতিয়াজ দাবি করেছেন।
'জঙ্গিদের আদর্শ'-র সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর
আর যে জাকিরকে নিয়ে এমন দাবি করেছেন ইমতিয়াজ, সেই 'জঙ্গিদের আদর্শ'-র সঙ্গে🐻 দেখা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তানি সরকারের আমন্ত্রণে গত সোমবার পাকিস্তানে গিয়েছিল জাকির। ইসলামাবাদ, করাচি এবং লাহোরের মতো জায়গায় তার প্রচারসভা ছিল। যে জাকিরের বিরুদ্ধে মগজধোলাই করা, ঘৃণা ছড়ানো এবং জঙ্গিদের প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
যুব প্রজন্মের মগজধোলাই করত জাকির
ব্র🉐িটেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জঙ্গি সংগঠন আল-কায়দার এমন অনেক সমর্থককে ধরা হয়েছিল, যারা দাবি করেছিল যে জাকিরের ভাষণে প্ররোচিত হয়েছে। যে জাকিরের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল নয়াদিল্লি। পরবর্তীতে ভারত ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিল 'জঙ্গিদের আদর্শ'। অভিযোগ উঠেছে যে জঙ্🌠গি কার্যকলাপের জন্য একটি ধর্মের তরুণ প্রজন্মের মগজধোলাই করত জাকির।
পাকিস্তানকে আক্রমণ ভারতের
শুধু তাই নয়, ওই জাকির ভারꦯতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) 'ওয়ান্টেড' তালিকায় আছে। আর সেই 'জঙ্গিদের আদর্শ'-কে একেবারে রেড কার্পেট পেতে পাকিস্তান স্বাগত জানানোয় ইসলামাবাদকে আক্রমণ শানিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির তরফে বলা হয়েছে, 'ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় পলাতক একজনকে যে পাকিস্তানে এত উচ্চপর্যায়ের অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে, 🐷সেই ঘটনায় আমরা এতটুকুও অবাক হইনি। ঘটনাটি হতাশাজনক। কিন্তু আমরা অবাক নই।'