⛄ইসমাইল হানিয়া। হামাস নেতা। ইরানে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইজরায়েলের বিমান হানায় তার তিন সন্তান আগেই মারা গিয়েছেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এই হামাস নেতাকে অন্যান্য যারা চরমপন্থী রয়েছেন তাদের তুলনায় মধ্য়পন্থী বলেই মনে করা হয়।
🐻২০১৭ সাল থেকে তিনি হামাসের সঙ্গে যুক্ত। নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তার উপর ছিল। গত ৭ অক্টোবর হামাস হামলা চালিয়েছিল। এর কিছুদিনের মধ্য়েই কাতারের আল জাজিরা টেলিভিশনে মুখ খুলেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, আপনারা ( আরব দুনিয়া) যে চুক্তি( ইজরায়েলের সঙ্গে) করেছে তাতেও এই দ্বন্দ্ব কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই।
এদিকে হামাসের সেই হামলার পরে পালটা হামলা চালায় ইজরায়েল। কার্যত হামাস꧂কে জবাব দেয় ইজরায়েল। তার জেরে গাজার মধ্য়ে অন্তত ৩৫,০০০ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।
🐷হানিয়ার তিন পুত্র- হাজেম, আমির আর মহম্মদ তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছিল গত ১০ এপ্রিল। সেই সময় ইজরায়েল বিমান হানা চালায়। একটি গাড়িতে চেপে তারা কয়েকজন যাচ্ছিলেন। সেই গাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। হামাস জানিয়েছে, হানিয়ার চার নাতি, তার মধ্য়ে তিনজন মেয়ে ও একটি ছেলেকে হারিয়েছেন।
এদিকে তার ছেলেরা এই হামাস গ্রুপের যোদ্ধা ছিলেন কি না সেই বিষয়টি এড়িয়ে যান হানিয়েꦫ। তিনি জানিয়েছিলেন প্যালেস্টাইনের মানুষের স্বার্থরক্ষাটা তাদের কাছে অনেক উপরে।
෴এদিকে ইজরায়েল সমস্ত হামাস নেতাকেই জঙ্গি বলে মনে করে। তাদের মতে, এই যে হামাস গোষ্ঠী তাদের নেতারাই জঙ্গি কার্যকলাপকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
♈এদিকে ২০১৭ সালে গাজা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন হানিয়া। হানিয়ের পরে ইয়াইয়া সিনওয়ার ক্ষমতায় আসেন। তিনি এর আগে দুই দশক ইজরায়েলের জেলে ছিলেন। পরে বন্দি প্রত্যর্পণের মাধ্যমে তিনি প্য়ালেস্টাইনে ফিরে এসেছিলেন। এদিকে অভিজ্ঞ মহলের মতে হানিয়া হামাস হামলার নেপথ্যে ছিলেন। তার সঙ্গে হামাসের মিলিটারি শাখার যোগাযোগ ছিল। তিনি ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মদতদাতা।
ᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚইরানের নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনেইয়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন হানিয়া। যাতে ইরান এই যুদ্ধের মধ্যে না থাকে। তবে রয়টার্স এনিয়ে হামাসের জবাব চেয়েছিল। কিন্তু হামাস এনিয়ে জবাব দেয়নি।
ꦿপ্রথম জীবনে শরনার্থী হিসাবে দিন কাটাতেন হানিয়া ও তার পরিবার। হামাসের নেতা শেখ আহমেদ ইয়াসিনের ভক্ত ছিলেন তিনি। পরে ইয়াসিনের সঙ্গী হয়ে ওঠেন তিনি। একেবারে বিশ্বস্ত সঙ্গী। ২০০৪ সালে ইয়াসিনকে হত্যা করে ইজরায়েল।