মেহমুদ জুয়াইতার প্যালেস্তা༺ইনের বিখ্যাত একজন হাস্যকৌতূক অভিনেতা। ইনস্টাগ্রামে তাঁর ১.২ মিলিয়ন ফলোয়ার। ইউটিউবে তাঁর বহু ভক্তরা ভিডিয়োয় মুগ্ধ। মূলত দর্শকের মুখে প্রাণ খোলা হাসি ফুটিয়ে তোলাই তাঁর কাজ। সেই কৌতূক অভিনেতার বাড়িতেও আছড়ে পড়ল যুদ্ধের এয়ারস্ট্রাইক। জুয়াইতারের বাড়ি শুক্রবার ইজরায়েলের এয়ারস্ট্রাইকের শিকার হয়েছে। তার জেরে গাজার দেইর আল বালাহ এলাকায় ওই এয়ারস্ট্রাইক কার্যত জুয়াইতারের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের।
গত অক্টোবর মাস থেকে ইজরায়েল বনাম হামাসের সংঘাত জারি রয়েছে। ইজরায়েলে হানা ও কয়েকশো নাগরিককে হামাসের অপহরণের পর পাল্টা যুদ্ধের রাস্তায় নামে নেতানিয়াহুর দেশ ইজরায়েল। দুই পক্ষের সংঘর্ষের মাঝেই গাজা ভূখণ্ডে পা রাখে ইজরায়েল। মামলা আন্তর্জাতিক কোর্টে যায়। গণহত্যা যাতে আর না হয়, তা ইজরায়েলকে নিশ্চিত করতে বলে কোর্ট। অন্যদিকে, হামাসকে পণবন্দিদের ছেড়ে দিতে বলা হয়। এদিকে, দুই তরফের সংঘাতের মাঝে শুক্রবার আরও একটি ম❀র্মান্তিক ঘটনা ঘটে গিয়েছে। শুক্রবার দেইর আল বালাহতে হামলা চালায় ইজরায়েল। আর সেই হানাতেই ধ্বংস হয় প্যালেস্তিনীয় কৌতূক অভিনেতা মহম্মদ জুয়াইতারের পরিবারিক বাসভবন। ২৩ জনের মৃত্যু ছাড়াও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন খোদ কৌতূক অভিনেতাও।
শুক্রবারের এই হামলার পর জুয়েইতার বলছেন, ‘আমি সব সময় গাজা ছেড়ে চলে যাওয়ার বিপক্ষে জোরালোভাবে কথা বলেছি। আমি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছি যাতে, আমাকে গাজা ছেড়ে যেতে বাধ্য না করা হয়। কারণ আমি গাজাকে ভালোবাসি, এর মানুষকে ভালোবাসি খুব।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় জুয়াইতারের এই বার্তা কার্যত করুণ এক বাস্তবকে তুলে ধ🅺রছে। যে বাস্তবে মিশে রয়েছে রক্তের গন্ধের সঙ্গে বারুদের ঘ্রাণ! এরপরই জুয়াইতার লিখছেন, ‘তবে মনে হচ্ছে ওরা চাইছে আমরা গাজা ছেড়ে চলে যাই।’ এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই কমেডিয়ান। যে মানুষটি অন্যের মুখে হাসি ফ🦄োটাতে সব সময় তৎপর থাকেন,তাঁর চোখে এই জল গাজার করুণ পরিস্থিতির ছবি তুলে ধরছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেꩲ হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের সংঘাত শুরু হয়েছে। ইজরায়েলে ১১৬০জনকে খুন করেছে হামাস। বাদ যায়নি শিশুরাও। এছাড়াও ২৫০ জনকে পণবন্দি করে আটকে রাখে হামাস। যদিও পরে যুদ্ধবিরতির মাঝে কয়েকজনকে ছেড়ে দেয় হামাস। এদিকে, পাল্টা হামলায় গাজায় প্রবেশ করে ইজরায়েল। এখনও পর্যন্ত গাজায় ২৯,৫১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজায়।