হেমন্ত সোরেন সরকার ফেলে দিতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। তাই টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছিল। এই কাজ করতে গিয়ে তিন কংগ্রেস বিধা▨য়ক গ্রেফতার হয় বাংলায়। কারণ তাঁদের গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এবার ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক বিস্ফোরক দাবি করে বললেন, এরা তিনজন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করেছিল কিছুদিন আগে। সুতরাং ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলতে সরাসরি বিজেপির যোগের অভিযোগ উঠল।
কে এই অভিযোগ করলেন? মঙ্ജগলবার⛦ ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক জয়মঙ্গল সিং এই অভিযোগ করেছেন। তিনি গত রবিবার এই তিনজন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। আর আজকে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। সেখানের অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, হেমন্ত সোরেন সরক🥃ারকে ফেলে দিতে ষড়যন্ত্র করেছিলেন—ইরফান আনসারি, রাজেশ কচ্ছপ, নমন বিক্সাল কোঙ্গাদি এই ঘোড়া কেনাবেচায় জড়িত।
ঠিক কী বলেছেন কংগ্রেস বিধায়ক? এই ঘটনা প্রসঙ্গে এদিন পুলিশের কাছে কংগ্রেস বিধায়ক জয়মঙ্গল সিং অভিযোগ করেন, ‘এই তিনজন সাসপেন্ড কংগ্রেস বিধায়ক আমায় কলকাতায় ডেকꦯে নিয়ে গিয়েছিলেন। ১০ কোটি টাকা এবং মন্ত্রী পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এমনকী আমাকে এই তিনজন হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে দেখা করতে নিয়ে গিয়েছিলেন।’ এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ মহারাষ্ট্র সরকার ফেলে দেওয়া হয়েছে। এবার ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলে꧑ দিতেই ছক কষা হয়েছিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিজেপি ঠিক কী বলছে? এই ঘটনা সামনে আসতেই জয়মঙ্গল সিংয়ের তোলা অভিযোগকে সর্বৈব মিথ্যা হিসাবে পাল্টা বলা হয়েছে। এই বিষয়ে অসম মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ তথা অসমের তথ্য ও পরিষদীয় মন্ত্রী পীষূষ হাজারিকা বলেন, ‘জয়মঙ্গল সিং ভিত্তিহীন ও মিথ্যে অভিযোগ করছেন। অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই জয়মঙ্গল সিংকে কেন্দ্রীয় কয়লামন্ত্রীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর সমস্যা মেটানোর জন্য।’ সেই বৈঠকের ছবিও টুইটারে পোস্ট করেন মন্ত্রী হাজারিকা। আর এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা তো একজন বিধায়ক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও আমার সঙ্গে🔯 যোগাযোগ রাখে। তবে সেটা রাজনীতির জন্য নয়। আমি ২২ বছর ওই দলে কাটিয়েছি। তাই আমার সঙ্গে সবার যোগাযোগ আছে। এই জন্যই কি একজন আমার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে? জানি না কংগ্রেসের কি হয়েছে।’