১০ বছর আগে দলিতদের লক্ষ্য করে বৈষম্য এবং জাতিগত হিংসার মামলায় ১০১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল আদালত। এর মধ্যে ৯৮ জনকে যাবজ্জীবন🐈 কারাদণ্ড এবং ৩ জনকে ৫ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার কর্ণাটকের একটি দায়রা আদালত গঙ্গাবতী তালুকের মারুকুম্বি গ্রাম🌞ে হিংসার ঘটনায় এই রায় দিয়েছে। একসঙ্গে এতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় বিষয়টিকে নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে কর্ণাটকে।
আরও পড়ুন: যুবতী হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন জেল খেটেছে দিল্লির কিশোরী🧔 নিগ্ꦚরহে অভিযুক্ত কৃষ্ণন
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে, আদালতের বিচারক চন্দ্রশেখর সি তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন, ১৯৮৯-এর অধীনে ১০১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রত্যেককে ২০০০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। বর্তমানে তারা সকলেই বাল্লারি কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। বিভিন্ন মিডিয়া সূত্র দাবি করছে, এটিই প্রথম কোনও রায় যেখানে জাত-সম্পর্কিত ﷺমামলায় একসঙ্গে এতজনকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হল। সরকারি কৌঁসুলি অপর্ণা বুন্দি বলেছেন, যে মামলায় সন্দেহভাজন ১১৭ জনের বিচার করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের ২৯ অগস্ট ঘটনাটি ঘটেছিল কোপ্পাল জেলার মারুকুম্বি গ্রামে। ওই দিন তিনটি দলিত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই জাতিগত হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ৩০ জনেরও বেশি লোক আহত হয়েছিলেন। দলিত নারী-পুরুষদের টেনেহিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে নিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল।
ঘটনাটি সেই সময় গোটা দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। ঘটনার প্রতিবাদে বেশ কয়েকজন দলিত নেতা কোপ্পাল জেলা থেকে বেঙ্গালুরুতে একটি ཧপদযাত্রা বের করেছিলেন। বীরেশ মারুকুম্বি নামে একজন দলিত নেতা এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তাকে সেই বছরের শেষের দিকে কোপ্পাল রেলওয়ে স্টেশনের কাছে খুন করা হয়েছিল। পরে দলিতদের আক্রমণ এবং তাদের কুঁড়েঘরে আগুন দেওয়ার বিষয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়।
সেই ঘটনায় প্রায় তিন মাস এলাকায় পুলিশি নজরদারি ছিল। গঙ্গাবতী থানা অবরোধ চলে বেশ কয়েকদিন। মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে গঙ্গাবতী গ্রামীণ পুলিশ। চার্জশিটে নাম থাকা সন্দেহভাজনদের মধ্যে ১৬ জন মারা গিয়েছেনꦍ। বাকি ১০১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। স্বাভাবিকভাবেই এমন কারাদণ্ডকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে ♛গিয়েছে। এখন নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দোষীরা উচ্চ আদালতে যায় কিনা সেটাই দেখার।