প্রয়াত অধ্যাপকের সিলিকন মূর্তি তৈরি করাচ্ছেন তাঁর পরিবার। ফিজিওলজি অধ্যাপক নেমাই চন্দ্র গোস্বামীর এই মূর্তি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়িতে আসবে। বীরভূমের সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের অধ্যাপক ছিলেন নেমাই চন্দ্র গোস্বামী। পড়ুয়াদের কাছে তিনি এন জি স্যার নামে পরিচিত ছিলেন। সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ছিলেন তিনি। গত বছর, ৩০ জানুয়ারি, ৬৯ বছর বয়সে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে গত হন। আরও পড়ুন: নেতাজির মূর্তি গড়তে ২৬,০০০ ঘণ্টা পরিশ্রম! ১৪০ চাকার ট্রাকে নিয়ে যাওয়া হয় পাথর
শহরের জনপ্রিয় সিলিকন ম🐼ূর্তি শিল্পী সুবিমল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁর ছেলে সৌম্যদীপ(২০)। তিনি বলেন, 'বাবার আকস্মিক মৃত্যুর পর, আমি প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সবার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। শেষে মা এবং🍸 দিদির সঙ্গে পরামর্শ, আলোচনা করার পরে আমরা মূর্তি তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে আমরা অন্তত কিছুটা সান্ত্বনা পাব।'
রবিবার সৌম্যদীপ তাঁর মা বৈশালী (৫২) এবং দিদি বিপাশার (২৮) সঙ্গে মূর্তির চূড়ান্ত তদারকি করতে বিরাটিতে, সুবিমল দাসജের ওয়ার্কশপে গিয়েছিলেন। বিপাশা জানান, 'আমার বাবার সিলিকন মূর্তিটি এতটাই সত্যিকারের মতো যে, পাশে বসে আমার যেন শৈশবের দিনগুলির মতো অনুভূতি ছিল।' সুবিমল দাসের স্টুডিয়োতে এদিন মূর্তির সঙ্গে ছবি তোলেন তাঁরা।
গত নভেম্বরেই প্রথম এই 🌼মূর্তি তৈরির বিষয়ে আগ্রহ জন্মায় সৌম্൲যদীপের। এরপর ডিসেম্বরে সুবিমল দাসের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।
'পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী সঠিক মুখের অভিব্যক্তি দিয়ে মূর্তি তৈরি করাটাই সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ,' বলেন সুবিমল দাস। গত তিন মাসে তিনি বেশ কয়েকবার সৌম্যদীপ ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সঠিক এক্সপ্রেশন দেওয়ার জন্য বেশ কিছু পরিবর্তনও করেছেন। কালার পিগমেন্টেশন প্রক্রিয়া, চোখও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আরও পড়ুন: অবসরের দশ বছর পরে ওয়াংখেড়েতে বসতে চলেছে সচিনের মূর্তি! আপ্লুত তেন্ডুলকর