দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য নকশালবাদ একটি চ্যালেঞ্জ, হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের সংবিধানে আস্থা না থাকায়, ক্রমাগত সহিংসতার মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা চালিয়🌞ে যাচ্ছেন নকশালপন্থীরা। কিন্তু সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে গত কয়েক বছরে দেশে এই ধরনের উগ্রবাদের সহিংসতা অনেকটাই কমেছে। লোকসভায় জিজ্ঞাসা করা এক প্রশ্নের জবাবে এই তথ্যগুলো প্রদান করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বলেছেন যে ඣসহিংসতার কারণে একটি মৃত্যুও ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।
ইউপিএ সরকারের তুলনায় এনডিএ সরকারের আমলে নিরাপত্তা বাহিনীর মৃত্যু সংখ্যা কমেছে
মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত দেশে এই চরমপন্থী সহিংসতার ১৬২৭৪টি ঘটনা ঘটেছিল। গত ১০ বছরে অর্থাৎ ২০১৪ থেকে বর্তমান ২০২৪ সাল পর্যন্ত সহিংসতার ঘটনা কমে ৭৬৯৬-এ দাঁড়িয়ে🎃ছে। অর্থাৎ এখনও পর্যন্ত নকশালদের উগ্রবাদ ৫৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এই সহিংসতায় নিহত নিরাপত্তা বাহিনীর সৈন্যদের পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ১৮২৪ জন সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিলেন, যেখানে ২০১৪-২৪ সালে এই সহিংসতায় প্রাণ হারানো সৈন্যের সংখ্যা কমে ৫০৯-এ দাঁড়িয়েছে। ইউপিএ সরকারের তুলনায় এনডিএ সরকারের আমলে নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৭৩ শতাংশ কমেছে। শুধু তাই নয়, ইউপিএ সরকারের সময় নকশাল সহিংসতায় প্রাণ হারানো বেসামরিক নাগরিকের সংখ্যা ছিল ৪৭৪৪, যা বর্তমান সরকারের ১০ বছরের মেয়াদে ১৪৮১-তে নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: (রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের বিরদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব, বড় সিদ্ধান𒁃্ত ইন্ডিয়ার)
উগ্রবাদের প্রভাব অনেক অংশে হ্রাস পেয়েছে
দেশে নকশাল সহ❀িংসতা আগের তুলনায় কমেছে। ২০১৩ সালে, ১০ রাজ্যের ১২৬টি জেলা নকশাল উগ্রবাদে প্রভাবিত হয়েছিল। অথচ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ২০২৪ সালের এপ্রিল নাগাদ, ৯ রাজ্যের মাত্র ৩৮টি জেলা উগ্রবাদে প্রভাবিত হয়েছে। ২০১০ সালে, ৯৬টি জেলার ৪৬৫টি থানা চরমপন্থী সহিংসতায় আক্রান্ত হয়েছিল, যেখানে ২০২৩ সালে, ৪২টি জেলার মাত্র ১৭১টি থানায় সহিংসতার প্রভাব দেখা গিয়েছে। চলতি বছরের গত ৬ মাসে, ১৬৬ জন জঙ্গি নিহত হয়েছেন এবং ৬০০ জনেরও বেশি জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছেন। মোদী সরকারের প্রচেষ্টায় আগামী সময়ে দেশ সম্পূর্ণ উগ্রবাদ থেকে মুক্ত হবে বলেও আস্থা প্রকাশ করেছেন মন্ত্রী।
কোন কোন রাজ্যের জেলাগুলো নকশালবাদে প্রভাবিত
এদিন লোকসভায়, ভারতীয় জনতা পার্টির এমপি সতীশ কুমার গৌতমের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গ, এই নয়টি রাজ্যের মধ্যে নকশালবাদ সীমাবদ্ধ রয়েছে। ছত্তিশগড়ের সর্বাধিক ১৫ জেলা - বিজাপুর, বস্তার, দান্তেওয়াড়া, ধামতারি, গড়িয়াবন্দ, কাঙ্কের, কোন্ডাগাঁও, মহাসমুন্দ, নারায়ণপুর, রাজনন্দগাঁও, মহল্লা-মনপুর- আমবাগড় চৌকি, খয়েরগড়- ছুইখাদান গাꦡন্দাই, সুকবিরগড়, কাঁদাগাঁও এখন নকশালবাদের হুমকিতে রয়েছে। এরপরেই ওড়িশার সাতটি জেলা রয়েছে - কালাহান্ডি, কান্ধমাল, বোলাঙ্গির, মালকানগিরি, নাবারংপুর, নুয়াপাদা এবং রায়গড়া।
তথ্য অনুসারে, নকশালবাদ ঝাড়খণ্ডের পাঁচটি জেলা - গিরিডিহ, গুমলা, লাতেহার, লোহারদাগা এবং পশ্চিম সিংভূম.এবং মধ্যপ্রদেশের তিনটি জেলায় - বালাঘাট, মান্ডলা এবং ডিন্ডোরিতে সীমাবদ্ধ। কেরালার দু' টি জেলা ওয়ায়ানাদ এবং কান্নুর, মহারাষ্ট্রের দু' টি জেলা গাদচিরোলি এবং গোন্দিয়া এবং তেলাঙ্গানার দু' টি জেলা ভদ্রদ্রি-কোথাগুদেম এবং মুলুগু-এর মধ্যে এখনও নকশালবাদ চিন্তার বিষয়। এরই পাশাপাশি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের নকশাল-আক্রান্ত এলাকাগুলি হল যথাক্রমে আল্লুরী সীতারামারাজু এবং ঝাড়গ্রাম।ꦦ
আরও পড়ুন: (Plane crashes 𝓡in Brazil: ৬২ জনকে নিয়ে ব্রাজিল ভেঙে পড়ল প্লেন, 'সবাই মারা গিয়েছেন…', নীরবতা প্রেসিডেন্টের)
জঙ্গি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় উন্নয়ন হচ্ছে
মন্ত্রী আরও বলেছেন, নিরাপত্তার পাশাপাশি নকশাল জঙ্গিদের সহিংসতায় ক্ষত❀িগ্রস্ত এলাকায় উন্নয়ন পরিকল্পনাকেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র এই এলাকার উন্নয়নের জন্য অনেক প্রকল্প চালাচ্ছে। অন্যান্য মন্ত্রকের পাশাপাশি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিশেষ কেন্দ্রীয় সহায়তা প্রকল্প চালানো হচ্ছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৩৪৫০ কোটি টাকা ছাড়া হয়েছে। সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুই ধরনের সড়ক প্রকল্প, রোড নিড স্কিম এবং সড়ক সংযোগ প্রকল্প চালানো হচ্ছে।