ভারতীয় রাজনীতিকে অপরাধমুক্ত করার জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল সুপ্রিম কোর্ট। এবার থেকে অপরাধে অভিযুক্তদের টিকিট দিলে সেটার যথার্থতা ব্যাখ্যা করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। একই সঙ্গে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধে অভিযুক্ত প্রার্থীদের তালিয়া দলের ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদপত্রে জানাতে হবে। এদিন রোহিংটন ন্যারিমান ও রবীন্দ্র ভাটের বেঞ্চ নিজেদের অর্ডারে বলেছেন যে একটি স্থানীয় ও একটি জাতীয় সংবাদপতত্রে ও দলের ফেসবুক ও টুইটার পেজে অপরাধে অভিযুক্তদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আছে, চার্জ গঠন করা হয়েছে কিনা, এই সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। একই সঙ্গে কেন অভিযুক্ত প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হল, সেটাও জানাতে হবে। এতে প্রার্থী জিততে পারে, এই যুক্তি দিলে চলবে না সেটাও জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে অভিযোগ বলতে এখানে সিভিল নয় শুধু ক্রিমিনাল অভিযোগের কথা বলেছে আদালত। আদালতের কথানুযায়ী কাজ হয়েছে কিনা, সেটার কম্প্লায়েন্স রিপোর্টও দিতে হবে রাজনৈতিক দলদের। রিপোর্ট না দিলে আদালত অবমাননার মামলা হতে পারে দলগুলির বিরুদ্ধে। বর্তমানে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় প্রার্থীদের জানাতে হয় তাদের বিরুদ্ধে কী কী মামলা চলছে। সেই হলফনামার ভিত্তিতেই এবার রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে সমস্ত অভিযোগের ফিরিস্তি। এর আগে দাগী প্রার্থীদের বিধায়ক বা সাংসদ পদ বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাদের ভোট দাঁড়ানোর ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। সেই প্রক্রিয়াতেই আরেক ধাপ এগিয়ে অভিযুক্তদের বিষয় ভোটারদের আরও বেশি তথ্য জানানোর পথ প্রশস্ত করল আদালত।