বিশা꧟খাপত্তনমে গ্যাস লিকের ঘটনার পর কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না কেন্দ্র। সেজন্য দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার ⛦পর কারখানা খোলার ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি করা হল।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউনের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কারখানা বন্ধ রয়েছে। সেই সময় নির্ধারিত স্ট্যান্টার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) মেনে না চলার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে পাইপলাইন, ভালভের মতো উৎপাদন সামগ্র🍰ীতে অবশিষ্ট রাসায়নিক পদার্থ পড়ে থাকতে পারে। যা বিপদের মাত্রা বাড়াতে পারে। বিপজ্জনক রাসায়নিক এবং দাহ্য পদার্থ বিশিষ্ট কারখানার ক্ষেত্রেও সেই বিষয়টি প্রয়োজ্য। একইভাবে দাহ্য তরল, বায়বীয় পদার্থ সমৃদ্ধ সামগ্রী, কনভেয়র বেল্ট, স্বয়ংক্রিয় গাড়ির কারখানার ক্ষেত্রেও ঝুঁকি রয়েছে। লকআউট না ট্যাগআউট পদ্ধতি ঠিকভাবে মানা না হলে বৈদ্যুতিন, যান্ত্রিক বা রাসায়নিক সরবরাহকারী অপারেটর বা সুপারভাইজারের পক্ষে তা ক্ষতিকারক হতে পারে।
সেজন্য কারখানা চালুর পরই তাড়াহুড়ো করে উৎপাদনের সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছাতে বারণ করেছে কেন্দ্র। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, 'কোনও উৎপাদন ইউনিট পুনরায় চালু করার সময় প্রথম সপ্তাহকে ট্রায়াল (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) বা পরীক্ষামূলক হিসেবে বিবেচনা করুন।' একইসঙ্গে নিয়মিত যাবতীয় সতকর্তামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন ও পরিদর্শন করার নির্দে♒শ দেওয়া হয়েছে। কারখানার কর্মীদের সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। কোনও অদ্ভুত আওয়াজ হলে বা গন্ধ পেলে, তার দেখা গেলে, কম্পন, লিক বা অন্য কোনও অস্বাভাবিক বিষয় নজরে রাখার বিষয়ে কর্মীদের সচেতন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাতে বোঝা যায়, তৎক্ষণাৎ সারাই বা সেটি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন আছে কিনা। কর্মীদের সুরক্ষাও নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পুনরায় কারখানা চালুর জন্য কী কী পদক্ষেপ করতে হবে, তাও নির্দেশিকায় বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। কাজ শুরুর আগে একটি বিস্তারিত সেফটি অডিট করার এবং পাইপলাইন, সামগ্রী পরিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে কারখানাগুলিতে ২৪ ঘণ্টাই কাজ চলে, সেখানে দুটি শিফটের মাঝে এক ঘণ্টা ব্য়বধান রাখতে বলা হয়েছে। তবে যে কারখানাগুলিকে টানা কাজ চালিয়ে যেতে হয়, তাদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ ক🐻ার্যকর হবে না। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশিকা মেনে ৩৩ শতাংশ পরিচালনা এবং প্রশাসনিক কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। তবে কোন কর্মীদের কাজ করানো হবে, তা নির্ধারণের সময় যাঁরা সুরক্ষাবিধির সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কর্মীদের আইসোলেশনে পাঠানোর প্রয়োজন যদি হয়, সেজন্য উপযুক্ত জায়গ๊ার বন্দোবস্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, সুরক্ষিতভাবে কাজ চালানোর ক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে শিল্প সংস্থাগুলিকে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেক্ষে🦹ত্রে সার্বিকভাবে শিল্পক্ষেত্রের সুরক্ষা বজায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানা যাতে এন্ড-টু-এন্ড কাজ চালাতে পারে, তা নিশ্চিত করার ভার জেলাশাসককে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারগুলিকে অন-সাইট ও অফ-সাইট বিপর্যয় মোকবিলার পরিকল্পনা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র।