করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নিজের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে এমনটাই বলেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের কাদাপারের যুবককে। কিন্তু এসভিআরআর সরকারি হাসপাতালের কাছে পাওয়া একটি স্যুটকেসেই জানা গেল আসল ঘটনা।স্যুটকেস দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সেটির ভিতর এক যুবতীর দগ্ধ দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরেই ঘটনার তদন্তে যাচাই করা হয় সিসিটিভি ফুটেজদেখা যায় এক ট্যাক্সি চালকের সঙ্গে হাসপাতালের সামনে স্যুটকেসটি ফেলে চলে গেল এক যুবক।তদন্তে নেমে জানা যায় দেহটি চিত্তুরের রামসমুন্দ্রমের বাসিন্দা ভুবনেশ্বরী নামের এক যুবতীর নামে থানায় ডায়েরি আছে। ভুবনেশ্বরীর স্বামী হঠাত্ই শ্বশুরবাড়িতে জানিয়েছিল যে ভুবনেশ্বরী করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টে হঠাত্ মারা গিয়েছেন। নিয়মমাফিক দেহও দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাহের ব্যবস্থা করেছে।কিন্তু, কোনও পজিটিভ হওয়ার খবর এল না, হঠাত্ মৃত্যুর খবর পেয়ে সন্দেহ হয় শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের। বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ করেও ভুবনেশ্বরীর ভর্তির রেকর্ড না পেয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা।পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা পুলিশকে জানান যে, করোনার ডেল্টা ভেরিয়েন্টে ভুবনেশ্বরীর মৃত্যু হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে তাঁর স্বামী।এরপরেই শ্রীকান্ত রেড্ডি নামে ওই যুবককে জেরা করা হয়। জেরায় জানা যায়, ২০১৯ সালে শ্রীকান্ত ও ভুবনেশ্বরীর বিয়ে হয়। তাদের একটি দেড় বছরের মেয়েও আছে। শ্রীকান্ত মাদকাসক্ত ছিল। আর্থিক দুর্নীতিতেও জড়িত।এই নিয়ে প্রায়শই অশান্তি হত দম্পতির মধ্যে। গত ২২ জুন ঝগড়ার পর স্ত্রীকে খুন করে শ্রীকান্ত। তারপর সে একটি বড় স্যুটকেস কিনে আনে। দেহ স্যুটকেসে ভরে লোপাটের চেষ্টা করে। তাকে সঙ্গ দেয় ক্যাব চালক। তিরুপতি পুলিশের মুখ্য আধিকারিক জানিয়েছেন মৃতার দেহের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। খুন করে দেহ লোপাট করে তার দায় করোনার উপর চাপানো যায়! ভেবেই আতঙ্কে স্থানীয়রা।