গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিদের হাতে ছ'জনের নৃশংস খুনের ঘটনার অবশেষে মুখ খুললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং। তিনি বলেন, যে বা যারা এই হত্যালীলা চালিয়েছে, তাদে๊র কাউকেই রেয়াত করা হবে না। সুবিচার হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে শীঘ্রই আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।
উল্লেখ্য, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতি-দাঙ্গার খেসারত দিতে হচ্ছে মণিপুরবাসীকে। সম্প্রতি সেখানে নতুন করে হিংসা ছড়াতে শুরু করে। যার ব༒লি হতে হয় ওই ছ'জনকে।
বীরেন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেই জানিয়েছেন, তিন মহিলা ও তিন শিশুকে যারা খুন করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে জিরিবাম জেলার একটি নদী থেকে ওই ছ🐻'জনের দেহ উদ্ধার করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যা🍸রা এভাবে মহিলা ও শিশুদে🌳র খুন করেছে, তারা আসলে মানবতার হত্যা করেছে।
এই নারকীয় ঘটনা প্রসঙ্গে নিজের একটি ভিডিয়ো বিবৃতি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বীরেন। তাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'জিরিবাম🦄ে তিন মহিলা ও তিনটি শিশুকে অপহরণ করে খুন করেছে কুকি জঙ্গিরা। আমি সেই ঘটনায় মর্মাহত ও ক্রুদ্ধ। আমি প্রবলভাবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি।...'
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'সভ্য সমাজে এই বর্বরোচিত আচরণের কোনও স্থান নেই। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে জানাতে চাই, ওই জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে। এবং শীঘ্রই তাদের পাকড়াও করে আইনি বিচারের আওতায় আনা হবে। তারা যে অমানবিক আচরণ করেছে, তাཧর শাস্তি যতক্ষণ না তারা পাচ🌼্ছে, আমরা থামব না।'
উল্লেখ্য, জিরিবামের একটি শরণার্থী শিবির থেকে গত ১১ নভꦡেম্বর ওই তিন মহিলা হঠাৎই উধাও হয়ে যান। সঙ্গে তিনটি শিশুর কোনও সন্ধান মিলছিল না। এই ঘটনার ঠিক আগেই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই হয়। তাতে ১০ সন্ত্রাসবাদীকে খতম করা হয়। তার ঠিক পরই ছ'জনের নিখোঁজ হওয়ার এই ঘটনা সামনে আসে। পরবর্তীতে ছ'জনেরই নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন সশস্ত্র জঙ্গির একটি দল ওই হামলা চালিয়েছিল। তারা প্রাথমিকভাবে বোরোবেকরায় অবস্থ♎িত একটি শরণার্থী শিবিরকে নিশানা করে। পরবর্তীতে, জিরিবামের এক থানাও তাদের হামলার শিকার হয়।'
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নিরাপত্তাবাহিনী তৎক্ষণাৎ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। তার জেরেই 🎐১০ জন জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হয়। এই তৎপরতার জন্য সে꧒খানে মোতেয়ন থাকা সিআরপিএফ সদস্যদের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।