বন্ধ হতে পারে বেশ কিছু বড় ফিনটেক সংস্থা। সম্প্রতি ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রক(MeitY) একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় এমন ডিজিটাল ঋণদাতা সংস্থার নাম উল্লেখ করা হয়, যাদের ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ্লিকেশন ভারতে নিষিদ্ধ করা হবে।ꦬ উক্ত তালিকায় নাম রয়েছে বেশ কয়েকটি নামজাদা ফিনটেক সংস্থারও।
ডিজিটাল লেন্ডিং অ্যাপের বিরুদ্ধে বর্তমানে কড়াকড়ি করছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, PayU-এর LazyPay, ভার্টেক্স গ্রোথ এবং ব্রুনেই ইনভেস্টমেন্টের Kissht-এর মতো ফিনটেক স্টার্টআপ-এর নাম এই তালিকায় যোগ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রক(MeitY) সম্প্রতি ১৩৮টি বেটিং অ্যাপ এবং ৯৪টি লোন অ্যাপ ভারতে ব্লক করে দিয়েছে। এগুলির বিরুদ্ধে চিনা যোগ থাকায় এবং আর্থিক তছরূপে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। Kishsht এবং LazyPay-এর মতো অ্যাপগুলিও একেবারে ব্যান হয়ে যাবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। আরও পড়ুন: ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ঋণ প্রদানকারী অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ কেন্দ্রের
সিএনবিসি-টিভি18-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'দ্য ফিনটেক অ্যাসোসিয়েশন ফর কনজিউমার এমপাওয়ারমেন্ট' (FACE), বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ঋণ প্রদানকারী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং CEO-রা মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের (MeitY) কর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এই বিষয়ে তাঁ🗹দের অবস্থান স্পষ্ট করবেন তাঁরা।
কিস্ত-এর প্রতিষ্ঠাতা রণভীর সিং জানান, আমাদের অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট সম্পূর্ণ রূপে গ্রাহকদের সুবিধার্থে কাজ করে। আমরা জানি যে গুগল প্লে স্টোর থেকে সরাতে হব▨ে, এমন অ্যাপের একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাতে আমাদের সংস্থারও নাম রয়েছে। কিন্তু এই জাতীয় বিজ্ঞপ্তির কারণ কী তা আমার দানা নেই। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করার জন্য আমরা কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করছিল। কিস্তের কোনও চিনা বিনিয়োগকারী নেই।
তবে ইতিম🦩ধ্যেই কিছু ব্যবহারকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা LazyPay, Kissht খুলতে পারছไেন না। তাদের ওয়েবসাইট-ই ব্লক হয়ে গিয়েছে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি সরকার অনুমোদনহীন ঋণ পরিষেবায় জড়িত থাকা ও চিনা সংযোগ থাকা ২৩২টি অ্যাপ ব্লক করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে পুরো কাজটি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে এক কেন্দ্রীয় আধিকারিক জানান, বাজি, জুয়া এবং টাকা পাচারে জড়িত ১৩৮টি অ্যাপ ব্লক করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ঋণ প্রদানকারী ৯৪টি অ্যাপ ব্লক করা হয়েছে। অভিযোগ, এই অ্যাপগুলি চিনা তথা বিদেশি সংস্থার নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছিল। এগুলি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপদজনক বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। আরও পড়ুন: Free Fire-সহ চিনের ৫৪টি অ্যাপ নিষিদ্ধ হল ভারতে, আপনার ফোনে এর কোনওটি নেই তো