২০১৯ সালের সংশোধ🍨িত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ-র অধীনে যাঁরা নতুন করে ভারতের নাগরিকত্ব লাভ করতে চেয়েছিলেন, তাঁরা কেমন আছেন, সেই সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়। কারণ, সেই তথ্যাবলী প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত🐈 নেই।
আরটিআই বা তথ্য জানার 𒁏অধিকার আইনের অধীনে 'দ্য হিন্দু'র পক্ষ থেকে ক🐈রা একটি আবেদনের ভিত্তিতে এই জবাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে সেইটুকু তথ্যই প্রকাশ করা সম্ভব, যেটুকু প্রকাশ করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
কেন এই অক্ষমতা? এর ব্যাখ্যা দিয়ে গত ৩ অক্টোবর পাঠানো জবাবি চিঠিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় জন তথ্য আধিকারিক (সি🌊পিআইও) যেহেতু ২০০৫ সালের আরটিআই আইনের অধীনে কোনও তথ্যাবলী সঙ্কলিত করতে বাধ্য নন, তাইꦅ এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, সিএএ-র অধীনে ভারতের নাগরিকত্ব পেꩲতে আবেদনকারীরা যাতে আর্জি জানাতে পারেন, তার জন্য একটি পোর্টাল (indiancitize🌜nshiponline.nic.in) খোলা হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট আরটিআই আবেদনে জানতে চাওয়া হয়, এখনও পর্যন্ত ওই পোর্টাল মারফত কত জন ⭕ব্যক্তি ভারতের নাগরিকত্ব পেতে আবেদন করেছেন? তাঁদের মধ্যে কতজনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে? এবং এখনও পর্যন্ত কতজনের আবেদনে সাড়া দেওয়া হয়নি?
এর জবাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, এই তথ্য সঙ্কলিত কোনও তথ্যভাণ্ডার সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি কর🤡া হয়নি। কারণ, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন এবং ২০১৯ সালের সংশোধিত নাগরিকত্ব 𝓀আইনের কোথাও বলা নেই যে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীদের তথ্যাবলী সংরক্ষিত করে রাখতে হবে।
এই বিষয়ে আরও একটি আরটিআই আবেদন করেন অজয় বোস নামে মহারাষ্ট্রের এক বাসিন্দা।🀅 চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল তিনি এই আব💦েদন করেছিলেন। সেই আবদনের জবাবেও একই উত্তর দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। জানিয়েছে, এই সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমিয়ে রাখার কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।
একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, আরটিআই অনুসারে, সিপিআইও-র নতুন তথ্যভাণ্ডার তৈরি করার অধিকার নেই। তাই, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রকাশ্যে আনার মতো কোনও তথ্য সরকারের কাছ👍ে উপলব্ধ নেই।
উল্লেখ্য, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে গত ১১ মার্চ সিএএ কার্যকর করত🌼ে নির্দেশিকা জারি করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার। তার প্রায় পাঁচ বছর আগে, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদে সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল পাস ♏হয়ে তা আইনে পরিণত হয়।
সেই আইন কার্যকর করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগায় এবং ভোটের ঠিক আগে তা নিয়ে নির্দেওশিকা জারি করায়, সেই সময় দ্বিতীয় মোদী সরকারের এই পদক্ষেপ নিয়ে তুমুল সমালোচ༺না করেছিল কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।